ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শহিদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজের দুই দিনব্যাপী আন্তঃহাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।
 
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও ঢাকা সেনানিবাসের লজিস্টিক এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোস্তাগাউছুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ইসরাত জাহান।
 
প্রতিযোগিতায় চারটি হাউজের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮০ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বেগম রোকেয়া হাউজ। ১৬৭ পয়েন্ট পেয়ে রানারআপ হয় রাবেয়া বসরী হাউজ। ব্যক্তিগত পর্যায়ে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মানছুরা জাহান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। 

এর আগে গত বুধবার বেলা ১১টায় দুই দিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল এস এম মনিরুজ্জামান। ওইদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আরিফা সুলতানা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’

পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ। 

সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।

মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”

এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”

এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে। 

তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ