রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) গত আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুল্লাহ আল মেহেদী হাসান ওরফে হিমেল। তিনি রাজশাহীর বেসরকারি নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে রাজশাহী মহানগরে বসবাস করেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নগরের মালোপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে মেহেদীকে ধরেন কিছু শিক্ষার্থী। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। মোবাইল চেক করে তাকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত থাকতে দেখা যায়। পরে রিকশায় করে তাকে নগরের বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

সেখানে ছিলেন রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুর রহিম। তিনি জানান, মেহেদী শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। রাজশাহীতে মাঝে মাঝেই ওই রেস্তোরাঁয় বসে মেহেদীসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নিয়মিত বৈঠক করতেন। খবর পেয়ে রাতে তারা সেখানে গেলে অন্যরা পালিয়ে যায়। তবে মেহেদীকে তারা ধরে ফেলেন। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

নগরের বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার একটি মামলা তিনি তদন্ত করছেন। সেই মামলায় মেহেদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচ ঘণ্টায় চিন্ময় দাসের জামিন নিয়ে ৩ আদেশ, ফের শুনানি রোববার

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় প্রাক্তন ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী রোববার এ বিষয়ে ফের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিন্ময় দাসকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এদিন দুপুর ২টার দিকে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। পরে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

চেম্বার আদালতের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভূঞা। সমকালকে তিনি বলেন, এটি স্পর্শকাতর মামলা। একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিল। চেম্বার আদালত আমাদের আবেদনটি মঞ্জুর করেছিলেন। তবে পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী রোববার এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।

চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভূঞা ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক। অন্যদিকে চিন্ময় দাসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য।

গত ২৫ অক্টোবর চিন্ময় দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আসামি করা হয় আরও ১৮ জনকে। ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীর সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এর পর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না– তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গতকাল ওই রুলের শুনানি শেষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ