ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি সোসাইটির (বিইসিপিএস) যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘সাইকোলজিক্যাল কেস কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.

মামুন আহমেদ।

এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সাইকোলজিক্যাল স্টাডিজের প্রধান সম্পাদক ও বিভাগের সাবেক অধ্যাপক হামিদা আখতার বেগম বিশেষ অতিথি এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহ্জাবীন হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাফিজা ফেরদৌসি।

অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক, মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানুষকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, পেশাগত ও রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও মানসিক চাপ মোকাবিলায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে।”

তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মানসিক ট্রমার মধ্যে পড়েন। এডুকেশনাল কাউন্সেলিং ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ যথাযথ কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। কাউন্সেলরদের কাজ শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের প্রতিটি জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এডুকেশনাল সাইকোলজি, কাউন্সেলিং সাইকোলজি ও সোসিওলজি বিভাগকে এক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।”

ঢাকা/সৌরভ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

র‍্যাংকিংয়ে মিরাজ-জাকেরদের অগ্রগতি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফর্ম করলেও এখনও টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ ২০-এ জায়গা হয়নি কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। তবে দলগতভাবে বেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছেন জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল, বোলিংয়ে বড় ধাপ এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ব্যাটে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে এখন তিনি বোলিং র‍্যাংকিংয়ে ২৬তম স্থানে। অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ে তিনি এখন আছেন তিন নম্বরে।

ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত উন্নতি হয়েছে জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল হকের। দুটি ইনিংসে ৫৬ ও ৪৭ রান করে মুমিনুল এগিয়েছেন ৫ ধাপ, এখন অবস্থান ৪৮তম। জাকের আলী এগিয়েছেন ১০ ধাপ, অবস্থান ৫০তম। শান্ত ৪ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৫৩তম স্থানে।

অন্যদিকে সিরিজে অসাধারণ পারফর্ম করে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি উঠে এসেছেন র‍্যাংকিংয়ের সেরা ১৫ বোলারের তালিকায়। প্রয়াত হিথ স্ট্রিকের পর তিনিই প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার হিসেবে টেস্ট রেটিংয়ে ছুঁয়েছেন ৭০০ পয়েন্টের মাইলফলক। বাংলাদেশ সফরেই তার এই অর্জন। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান বেনেট দুই ইনিংসে ৫৭ ও ৫৪ রান করে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০০-র মধ্যে ঢুকেছেন।

বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এখনও তালিকায় আছেন লিটন দাস, যদিও সিরিজে না থাকায় তিনি এক ধাপ পিছিয়ে যৌথভাবে এখন ৩৭তম। ফর্মহীনতায় ভোগা মুশফিকুর রহিম নেমে গেছেন ৪০তম স্থানে। বোলিং র‍্যাংকিংয়ে মিরাজের আগেই আছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, যার অবস্থান ২৩তম। এছাড়া সাকিব আল হাসান এখনো শীর্ষ ৫০-এ আছেন, তাসকিন আহমেদ রয়েছেন ৫১ নম্বরে।

অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে জায়গা ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই তালিকার নিয়মিত মুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ