গোপালগঞ্জ জেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রশস্ত করার কাজে একটি স্কুলের দেয়াল ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ মিছিল করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তারা ৪ ঘণ্টাব্যাপী গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
শহরের গেটপাড়া এলাকায় স্থাপিত অ্যাডভেন্টিস্ট ইন্টারন্যাশনাল মিশনারিজ স্কুলের রাস্তার পাশের দেয়াল জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সওজ কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার সকালে ভেঙে দেয়। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সীর নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলের দেয়াল সরিয়ে না নেওয়ায় রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ স্থগিত ছিল। সরকারি জায়গার ওপর স্কুলের দেয়াল নির্মাণ করায় তা সওজ কর্তৃপক্ষ ভেঙে দেয় বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম কবিরের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ