Samakal:
2025-09-18@08:34:03 GMT

নেইমার ফিল সেভেন্টিন

Published: 2nd, February 2025 GMT

নেইমার ফিল সেভেন্টিন

সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরো থেকে হাঁটা দূরত্ব আধা কিলোমিটারের মতো ১৪ তলা সমাধি ভবন, সেই একুমেনিকেল মেমোরিয়াল সিমেট্রির প্রথম তলাতেই শান্তিতে চিরঘুমে পেলে। তিনিই বলে গিয়েছিলেন, মৃত্যুর পরও যেন সান্তোসের কাছাকাছি থাকতে পারেন। সান্তোসের কিং পেলে কি এদিন শুনতে পেয়েছিলেন, এক প্রিন্সের প্রত্যাবর্তনে সেখানকার মানুষের হর্ষধ্বনি। অনুভব করতে পেরেছিলেন কি, তাদের আবেগ! দেখতে পেয়েছিলেন কি, সেই যুবরাজকে পরানো তাঁর পছন্দের সেই ১০ নম্বর জার্সিটি? 

যখন হাজার বিশেক সমর্থকের সামনে এসে সেই ১০ নম্বর জার্সিটি পরে কান্নায় ভাসছিলেন নেইমার, তখন ওপর থেকে নিশ্চিত তাঁকে আশীর্বাদ করেছিলেন পেলে। আসলে সাও পাওলোর প্রত্যেক ফুটবলারের কাছে সান্তোস একটি আবেগের নাম। গতকাল সেই ক্লাবে ১৫ বছর পর ফিরে এসে নেইমারও ভাসলেন আবেগ ও ভালোবাসার স্রোতে। 

‘কিছু সিদ্ধান্ত আছে, যা ফুটবল বা যুক্তির সীমানার বাইরে। কিছু আছে প্রভাব বিস্তারি। স্বীকার করছি, জানুয়ারির শুরুতেও আমি কল্পনা করিনি, সান্তোসে ফিরব বা আল হিলাল ছাড়ব। আমি সেখানে খুশি ছিলাম, আমার পরিবারও খুশি ছিল। তবে এর পর কিছু ব্যাপার ঘটল এবং আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হতো। প্রতিদিনের অনুশীলনে আমি ভালো অনুভব করছিলাম না। তাই সান্তোসে ফেরার প্রস্তাব পেয়ে দ্বিতীয়বার ভাবিনি।’ মাইক হাতে কথাগুলো বলতে বলতেই যেন কৈশোরের সেই দিনগুলোতে ফিরে যান নেইমার।

১১ বছর বয়সে এই ক্লাবে পা রেখেছিলেন। ৬ বছর পর এখান থেকেই পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। চার বছরে সান্তোস এফসির হয়ে মোট ২২৫ ম্যাচে ১৩৬ গোল করেন। ২০১১ সালে কোপা লিবের্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন হয়, যা ছিল ৫০ বছরের মধ্যে সেই টুর্নামেন্টে সান্তোসের প্রথম শিরোপা। তার পরই তো ব্রাজিল থেকে বার্সেলোনা, প্যারিস, রিয়াদ হয়ে ফের সান্তোসে আসা।

‘নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে ফিরেছি আমি। এখানে পা রাখার পরই মনে হচ্ছে, যেন বয়স আবার ১৭ হয়ে গেছে।’ বছর বত্রিশের নেইমারকে এ সময় সতেরোর কিশোরের মতোই লাগছিল যেন। কখনও গ্যালারির দিকে মাথা ঝুঁকিয়ে, কখনও মাটিতে চুমু খেয়ে, কখনও দুই হাত গোল সেলিব্রেশনের মতো ছড়িয়ে বারবার সান্তোসের দর্শকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন। তাঁর জন্য রাজকীয় সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল ক্লাবটি। স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্টও আয়োজন করেছিল। আতশবাজি ও আলোর ঝলকানিতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি। দর্শকদের আবদারে ড্রিবলিং দেখানোর পর নেইমার বলতে থাকেন, ‘ম্যাচে এসব নান্দনিক সৌন্দর্য দেখানোর সাহসের ঘাটতি থাকবে না।’

নেইমারকে নিয়ে ‘দ্য প্রিন্স ইজ কামিং ব্যাক’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্লাবটি। যেখানে নেইমার বলেন, ‘কিং পেলে, আপনার ইচ্ছা আমার কাছে আদেশের মতো। সিংহাসন এবং মুকুট এখনও আপনার। আপনি চিরন্তন। আপনার এই ১০ নম্বর; পবিত্র এই জার্সিটি গায়ে জড়ানো আমার জন্য সম্মানের।’ ছয় মাসের জন্য সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তাঁর। এদিন সাও পাওলো থেকে বন্দরনগরী সান্তোসে হেলিকপ্টারে আসেন নেইমার। তাঁকে দেখার জন্য স্টেডিয়ামের বাইরেও হাজারখানেক মানুষ ভিড় করেন, যা দেখে পুরোনো সেই দিনে ফিরে গিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান