বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৫
Published: 3rd, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা বাজারের মেইন গলিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জনের আহতের খবর পাওয়া যায়। এদের মধ্যে গুরুতর একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, টাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে ইয়াকুব আলী (৩২) কাচারি পাড়া গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে হারুন অর রসিদ (১৮) ও কাচারি পাড়া গ্রামের মৃত শাহার আলীর ছেলে শরিফুদ্দিন (৪০), সাংবাদিক সুজন মাহমুদ (২৪) ও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
জানা যায়, জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটিতে অধ্যাপক মোখলেছুর রহমানের নাম না থাকায় আরেক পক্ষের সমর্থকদের ফেসবুকে তিরস্কার করেছেন। সেই ফেসবুক পোস্ট দেখে সামনা সামনি কথা-কাটাকাটির জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। জেলা বিএনপি কমিটির লোকজনের সঙ্গে আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছি। বিএনপির বৃহৎ রাজনৈতিক দল, নানাবিধ লোকজন রয়েছে। দলের মধ্যে কেউ কেউ আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে। যদি কেউ আমার নাম নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করে থাকে আমি উপজেলায় ফিরে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রুস্তম মাহমুদ বলেন, আমি রৌমারীতে অবস্থান করছি। আমার কোনো সমর্থকদের মধ্যে বিভেদ নেই। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে রাজনীতি করি। তুচ্ছ ঘটনা থেকে জুনিয়রদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার মো.
রাজিবপুর থানার ওসি মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ব এনপ স ঘর ষ র ঘটন ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।