Risingbd:
2025-05-01@05:00:25 GMT

সে কি প্রকৃত বন্ধু?

Published: 7th, February 2025 GMT

সে কি প্রকৃত বন্ধু?

যাকে বন্ধু ভাবেন সে কি সত্যিই বন্ধু নাকি বন্ধুর মুখোশ পরে থাকা অন্য কেউ?  মাত্র তিনটি আচরণ মূল্যায়ন করলেই এই প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। আপনার আনন্দ, বেদনার গল্প যাকে শোনাতে চান, যার সঙ্গ আপনার ভালো লাগে তিনিও যদি একইরকম অনুভব করেন তাহলে আপনি সৌভাগ্যবান। কিন্তু সহযোগিতা চাইলে যদি এড়িয়ে যায়, কখনও যদি নিজ থেকে যোগাযোগ না করেন অথবা আপনাকে সফল হতে দেখলে তিনি যদি চুপসে যান; তাহলে সতর্ক হোন।

সহযোগিতা চাইলে কৌশলে এড়িয়ে যান: বন্ধু তো সে, যাকে সময়-অসময়ে, ভালো-মন্দে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পাশে পাওয়া যায়। বন্ধু কোনও সাহায্য চাইলে আপনি যেকোন উপায়ে চেষ্টা করেন তার পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু আপনার দরকারে কি বন্ধু সব সময় পাশে থাকেন, বা থাকার চেষ্টা করেন? আপনি সমস্যায় পড়ে তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি  যদি কৌশলে এড়িয়ে যান? তাহলে ‍বুঝতে হবে তিনি সুবিধাবাদী বন্ধু।

সে কখনও আগে যোগাযোগ করেন না: বন্ধুত্বের সম্পর্ক শুধু প্রয়োজনের নয়, তিনি আপনার প্রিয়জন। কখনও কখনও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়াই দুইজনের কথা হতে পারে, দেখা হতে পারে। বন্ধুত্বে এই পাগলামি না থাকলে কি হয়! একতরফা কোনও কিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কখনও আপনি তাকে ডেকে নেবেন আবার কখনও তিনি আপনাকে ডেকে নেবেন। কিন্তু তিনি যদি নিজে উদ্যোগী হয়ে কখনও কথা না বলেন, তাহলে এই সম্পর্ককে কর্তৃত্ববাদী বন্ধুত্ব বলতে পারেন। প্রকৃত বন্ধুত্বে কর্তৃত্ববাদ থাকে না। 

আরো পড়ুন:

হোটেল রুমে লুকানো ক্যামেরা খোঁজার উপায়

নিজেই বানান ভিটামিন কে সমৃদ্ধ ফেসপ্যাক

আপনি সফল হলে তার আচরণ বদলে যায়: আপনি সফল হলে সেই সফলতার আনন্দ আপনার বন্ধুর মনেও প্রবাহিত হবে। কিন্তু আপনার সফলতা যদি  তিনি উদযাপন না করেন তাহলে তাকে ঈর্ষাকাতর ভাবতে পারেন। এমন বন্ধুত্ব এগিয়ে নেবেন কিনা একবার ভাবুন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ধ ত ব আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

সন্তানের বন্ধু হতে চাইলে

সন্তান যে কতটা প্রিয় তা ভাবে ও ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা অধিকাংশ মানুষেরই থাকে না। সন্তান সব মা-বাবার জীবনে সবচেয়ে বড় সম্পদ। জন্মসূত্রে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর, গভীর, ভালোবাসা, স্নেহ, স্বার্থহীন, নির্ভেজাল এ সম্পর্ক তৈরি হয়। 
ছোট্ট শিশু থেকে বেড়ে ওঠার সময়টায় মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক আনন্দের, মজার, কষ্টের, দুঃখের, হাসির– মোট কথা ঘটনাবহুল ও স্মৃতিময়। মা-বাবা সন্তানের জন্য বহুমুখী সম্পর্ক পালন করেন। কখনও বন্ধু, শিক্ষক, সাহায্যকারী, সহমর্মী, অভিভাবক, ভ্রমণসঙ্গী হয়ে। এ যাত্রা মোটেও সহজ নয়। সামান্য কারণে সন্তানের সঙ্গে তৈরি হতে পারে দূরত্ব ও ভুল বোঝাবুঝি। 
সন্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার জন্য মা-বাবার কী করা উচিত– জানতে চেয়েছিলাম সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মনোচিকিৎসক বাপ্পা আজিজুলের কাছে। তিনি জানান, ‘প্যারেন্টিং বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কোর্স বা ডিগ্রি নেই। প্যারেন্টিং শিশুর বয়স অনুসারে পরিবর্তিত হয়। মোটামুটি ৩টি বয়সে ভাগ করে মা-বাবার শিশুর সঙ্গে আচরণ ও ব্যবহারে ভিন্নতা আনা যেতে পারে।’ 
১. বাচ্চার বয়স ০-১২ বছর পর্যন্ত চাইল্ড প্যারেন্টিং। 
২. ১৩-১৯ বছর বয়সীদের জন্য টিন প্যারেন্টিং। 
৩. ২০ বছর থেকে শুরু করে ৩০-৩২ বছর পর্যন্ত অ্যাডাল্ট প্যারেন্টিং। 
একেক বয়সী সন্তানের জন্য পিতামাতার ভূমিকা একেক রকম হয়। সন্তানকে আদর, সোহাগ, কোলে-পিঠে নেওয়া, চুমু, স্নেহ, চক্ষুশীতল করে গড়ার মূল বয়স ১০ বছর বয়স পর্যন্ত। তাই বলে আপনার যে বাচ্চার বয়স ১০ পেরিয়ে গেছে তার জন্য হতাশ হবেন না, তার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াবেন না। এখনই পজিটিভ প্যারেন্টিং শুরু করুন। সব ঠিক হয়ে যাবে। সন্তান আপনাকে বন্ধু ভাববে। দূরত্ব যাবে ঘুচে। সাধারণত প্যারেন্টিং চার ধরনের– 
ডিকটোরিয়াল বা একনায়কতন্ত্র: এমন ধরনের পিতামাতার ইচ্ছা পালন করতে হবে। সন্তান নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। 
অথরিটিটিভ বা কর্তৃত্বশীল: এমন ধরনের মা-বাবা সন্তানের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তিতে আবদ্ধ হন। যেমন– তুমি যদি আমাদের কথা শোন তবে আমরা তোমাকে এ সুযোগ-সুবিধা দেব।
পারমিসিভ বা অনুমতিসূচক: এমন ক্ষেত্রে মা-বাবা সন্তানকে অবাধ স্বাধীনতা বা ছাড় দেন; যা ইচ্ছা করলেও খারাপ কিছু যাতে না করে সেই পরামর্শ দেওয়া থাকে। 
ডেমোক্রেটিক বা গণতান্ত্রিক: এ পদ্ধতিতে পিতামাতা সন্তানের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্যারেন্টিংয়ের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি এখন সারাবিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে।
কিশোর-কিশোরীদের ওপর অতিরিক্ত ও অযাচিত শাসন চাপিয়ে দেবেন না। এ বয়স বুঝিয়ে বলার। যেসব মা-বাবা বাচ্চাদের লেখাপড়ার ফলাফল আশানুরূপ না হলে বকা দেন বা পড়াশোনাকেই সাফল্যের একমাত্র উপায় মনে করেন তাদের বলছি– 
১. সন্তানকে অভয় দিন। আশ্বস্ত করুন; যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন কানের কাছে বারবার একই কথা বলতে থাকলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আপনার শীতল গলা, অকৃত্রিম ভালোবাসা, মানসিক সাপোর্ট তার আত্মপর্যালোচনার জন্য যথেষ্ট হবে। 
২. সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিন। সময় দেওয়া মানে সন্তানের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা নয়। সন্তানের বন্ধু হোন। ওর চোখে আদর্শ মা-বাবা হোন। মানসম্মত সময় দিন। সন্তানের সঙ্গে খেলুন। সৃজনশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত থাকুন। ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গল্প করুন। 
৩. সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। ওদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাহলে মা-বাবার সঙ্গে গ্যাপ (জেনারেশন গ্যাপ) কমে আসবে। কোনো বিষয়ে সমস্যা থাকলে সেটিও জানা যাবে। আপনার সন্তানের মনে সাহস ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। মন হালকা হবে। ইমোশন ভেন্টিলেশন হবে।
৪. সন্তানের লক্ষ্য নির্ধারণে সহযোগী হোন। নিজের সিদ্ধান্ত সন্তানের কাঁধে জোর করে চাপিয়ে দেবেন না। রেজাল্ট, সুযোগ, সক্ষমতা ইত্যাদি বিবেচনায় আনুন। সন্তানকে সুপরামর্শ দিন। তবে দিনশেষে নিজের জীবনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাকে নিতে দিন। 
৫. সন্তানের কাছে প্রত্যাশা কম করুন। ওদের আচরণে, ব্যবহারে বা লেখাপড়ার ফলাফলে হতাশ হবেন না। প্রত্যাশা কেবল চাপ তৈরি করে। এক সন্তানের সঙ্গে অন্যজনের বা অন্যদের সঙ্গে অযথা তুলনায় যাবেন না। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করার অভিযোগ
  • চিনি-লবণের অনুপম পাঠ
  • মাওলানা রঈস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবি ১০৪ নাগরিকের
  • শততম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে চান ইয়ামাল
  • সন্তানের বন্ধু হতে চাইলে
  • নির্মাতার ঘোষণার অপেক্ষায় চিত্রাঙ্গদা
  • শিশুর মাথা ঘামে কেন
  • কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত হাওয়া
  • নিজেদের সফলতার গল্প শোনালেন তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা
  • গান নিয়েই আমার সব ভাবনা