Risingbd:
2025-09-17@23:49:13 GMT

সে কি প্রকৃত বন্ধু?

Published: 7th, February 2025 GMT

সে কি প্রকৃত বন্ধু?

যাকে বন্ধু ভাবেন সে কি সত্যিই বন্ধু নাকি বন্ধুর মুখোশ পরে থাকা অন্য কেউ?  মাত্র তিনটি আচরণ মূল্যায়ন করলেই এই প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। আপনার আনন্দ, বেদনার গল্প যাকে শোনাতে চান, যার সঙ্গ আপনার ভালো লাগে তিনিও যদি একইরকম অনুভব করেন তাহলে আপনি সৌভাগ্যবান। কিন্তু সহযোগিতা চাইলে যদি এড়িয়ে যায়, কখনও যদি নিজ থেকে যোগাযোগ না করেন অথবা আপনাকে সফল হতে দেখলে তিনি যদি চুপসে যান; তাহলে সতর্ক হোন।

সহযোগিতা চাইলে কৌশলে এড়িয়ে যান: বন্ধু তো সে, যাকে সময়-অসময়ে, ভালো-মন্দে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পাশে পাওয়া যায়। বন্ধু কোনও সাহায্য চাইলে আপনি যেকোন উপায়ে চেষ্টা করেন তার পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু আপনার দরকারে কি বন্ধু সব সময় পাশে থাকেন, বা থাকার চেষ্টা করেন? আপনি সমস্যায় পড়ে তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি  যদি কৌশলে এড়িয়ে যান? তাহলে ‍বুঝতে হবে তিনি সুবিধাবাদী বন্ধু।

সে কখনও আগে যোগাযোগ করেন না: বন্ধুত্বের সম্পর্ক শুধু প্রয়োজনের নয়, তিনি আপনার প্রিয়জন। কখনও কখনও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়াই দুইজনের কথা হতে পারে, দেখা হতে পারে। বন্ধুত্বে এই পাগলামি না থাকলে কি হয়! একতরফা কোনও কিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কখনও আপনি তাকে ডেকে নেবেন আবার কখনও তিনি আপনাকে ডেকে নেবেন। কিন্তু তিনি যদি নিজে উদ্যোগী হয়ে কখনও কথা না বলেন, তাহলে এই সম্পর্ককে কর্তৃত্ববাদী বন্ধুত্ব বলতে পারেন। প্রকৃত বন্ধুত্বে কর্তৃত্ববাদ থাকে না। 

আরো পড়ুন:

হোটেল রুমে লুকানো ক্যামেরা খোঁজার উপায়

নিজেই বানান ভিটামিন কে সমৃদ্ধ ফেসপ্যাক

আপনি সফল হলে তার আচরণ বদলে যায়: আপনি সফল হলে সেই সফলতার আনন্দ আপনার বন্ধুর মনেও প্রবাহিত হবে। কিন্তু আপনার সফলতা যদি  তিনি উদযাপন না করেন তাহলে তাকে ঈর্ষাকাতর ভাবতে পারেন। এমন বন্ধুত্ব এগিয়ে নেবেন কিনা একবার ভাবুন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ধ ত ব আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • মুসলিম পরিবারে শিশুর নিরাপত্তা
  • পুরোপুরি বিলুপ্তির পর উগান্ডায় আবার ফিরল গন্ডার
  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে ক্যারিয়ার–বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান