২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য প্রাক-নির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষা হবে আগামীকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। রুয়েটে ১ হাজার ২৩৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১৯ হাজার ৯১৫ জন। তিন শিফটে হবে এমসিকিউ পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রুয়েটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড.

এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, “ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের জালিয়াতি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন এবং ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রথম শিফটে পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১০০০০১ থেকে ১০৬৬৩৯ রোল নম্বরধারীরা। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তাদের পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় শিফটে ২০০০০১ থেকে ২০৬৬৩৮ রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা হবে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। তৃতীয় শিফটে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৩০০০০১ থেকে ৩০৬৬৩৮ রোল নম্বরধারীরা।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বলেছেন, “রুয়েটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য মোট আসন আছে ১ হাজার ২৩৫টি। প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষা শেষে নির্বাচনি (লিখিত) পরীক্ষার জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনি (লিখিত) পরীক্ষা হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনি (লিখিত) পরীক্ষায় ‘ক’ ও ‘খ’ উভয় গ্রুপের জন্য মোট ৩৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য অতিরিক্ত ১০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষা হবে। ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ মার্চ।”

তিনি জানান, পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ফটোকপি, ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটাধারীদের গোত্রপ্রধান প্রদত্ত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। পরীক্ষা চলাকালে অনুমোদিত ক্যালকুলেটর ছাড়া অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এইচ এম রাসেল, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও উপ-পরিচালক (প্রশাসন) জেড এইচ এম মনজুর মোর্শেদ, জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মুরতুজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/মাহিন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য় অ শ ন পর ক ষ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে

সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ  ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।

একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের  প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে,  মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে  ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • ২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ