রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে সাবেক আইজিপি বেনজীর
Published: 8th, February 2025 GMT
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী এবং পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলুর সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জনবান্ধব বাহিনী গঠনে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। যেসব সদস্য গণহত্যাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আজ্ঞাবহ ছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করতে হবে।
সম্প্রতি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন। বাহিনী সম্পর্কে তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, যা পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের নজরে এসেছে।
এ বক্তব্যটি পুলিশ বাহিনী ও এর সদস্যদের পেশাদারিত্বকে ক্ষুণ্ণ করেছে বলে মনে করে অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থাটি জানায়, এ ধরনের সভায় অংশ নেওয়া এবং বক্তব্য দেওয়া দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও দুদকের একাধিক মামলায় অভিযুক্ত সাবেক আইজিপি। এমন একজন ব্যক্তির রাষ্ট্রবিরোধী কাজে অন্যরা মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। তার এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব ক আইজ প
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ