Risingbd:
2025-11-03@03:57:44 GMT

প্রাণের মেলায় মিলেছিলাম

Published: 8th, February 2025 GMT

প্রাণের মেলায় মিলেছিলাম

আমরা যারা ইটপাথরের শহরে উদয়-অস্ত ছুটে চলা জীবনে অভ্যস্ত, তাদের এই গতানুগতিক গণ্ডির বাইরে খুব-একটা যাওয়া হয়ে ওঠে না। সময়-সুযোগ কোনোটাই তেমন মেলে না। শহরে দালান-কোঠার ফাঁক দিয়ে রাতে আকাশে চাঁদ ওঠে, সেই চাঁদ জ্যোৎস্না ঝরায়, তার সৌন্দর্য কখনো দেখা হয় না। শহরে নদী নেই। এখানে পাখি ডাকে না। আছে নামি-দামি আলো ঝলমলে রেস্তোরাঁ কিন্তু সেখানে প্রাণের স্পন্দন নেই, স্বস্তি মেলে না।

আমরা যারা অনলাইন গণমাধ্যমে কাজ করি, তাদের কাজের ধরনটা-ই এমন, সেখানে রাত-দিনের খুব ফারাক থাকে না। এই গণমাধ্যম একবার শুরু হয় কিন্তু বিরতি হয় না। চলতেই থাকে। পেশার বাইরেও জীবন আছে, সেই জীবনের আবেদন-নিবেদন আছে, সেটা আমাদের ভুলেই যেতে হয়।  

এর মধ্যে ফুসরত বের করে আমরা মিলেছিলাম প্রাণের মেলায়; ঢাকার সাভার শহরের অদূরে বংশী নদীর পাড়ে ‘নীলা বর্ষা রিভার কুইন রিসোর্টে’। অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম-এর ‘বনভোজন ও প্রতিনিধি সম্মেলনে’ আনন্দ আয়োজনে মেতেছিলাম সারা দিন। তবে পাঠককে প্রতিমুহূর্তে সংবাদ জানানো কিন্তু থেমে থাকেনি। সেটিও চলেছে, তবে স্বল্প পরিসরে ওই রিসোর্ট বসেই।

দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী, কাক ডাকা ভোরে সবাইকে অফিসে পৌঁছে বাস ধরতে হয়। সেই বাস ছুটে চলে ঢাকা শহরের কোলাহল পেরিয়ে গ্রামের পানে। কখনো শহর পেরিয়ে দিগন্ত-বিস্তৃত মাঠ, আবার মাঠ পেরিয়ে উপশহর, এরপর আবার গ্রাম। এভাবে চলতে চলতে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমরা পৌঁছে যায় বংশী নদীর ‘মানু মিয়ার ঘাটে’। নদীর দুই পাড়ে সবুজ বনানী। ফসলের মাঠ। নদী জলে কানায় কানায় পূর্ণ তবে স্রোতহীন, স্থবির। বয়ে চলার কলকল শব্দ নেই। তবে শব্দ করে পণ্যবাহী ছোট ছোট জাহাজ, যাত্রীবাহী নৌকা চলে। একে একে নৌকায় করে নদী পার হয়ে আমরা পৌঁছে যায় রিসোর্টে।

এবারের বনভোজনে বড় প্রাপ্তি ছিল রাইজিংবিডি ডটকম-এর প্রতিনিধি সম্মেলন। সারা দেশ থেকে জেলা বা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা আনন্দ আয়োজনে যোগ দেন। তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে বনভোজন ভিন্নমাত্রা পায়। তাদের স্বাগত জানানোর জন্য আগের দিবাগত রাতে বার্তা সম্পাদক রাসেল পারভেজ এবং প্রধান প্রতিবেদক হাসান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি দল রিসোর্টে অবস্থান করেন। অধিকাংশ প্রতিনিধি ভোরে অফিসে জড়ো হয়ে বাস ধরেন। তবে পার্শ্ববর্তী জেলা বা যাতায়াতের সুবিধায় অনেকে সরাসরি রিসোর্টে গিয়ে যোগ দেন। অনেকে পথে যানজটের কবলে পড়ে পৌঁছান দুপুরে। যত ব্যস্ততা থাকুক বা দুর্ভোগ পোহাতে হোক, তা উপেক্ষা করে তারা প্রাণের ডাকে সাড়া দিয়ে ঠিকই পৌঁছান। খুলনার নুরুজ্জামান ফকির এবং সাতক্ষীরা শাহীন গোলদার এতটাই আগে পৌঁছান যে, তখনো রাত পেরিয়ে ভোরের আভাস মেলেনি। মাঝিরা খেয়া পারাপারও শুরু করেনি। অগত্যা ভোর পর্যন্ত তাদের খেয়াঘাট পাহারা দিতে হয়।

সকালে নাস্তা শেষে খেলোয়াড়েরা মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আর সাইফ বরকতুল্লাহ বসে পড়েন ল্যাপটপ নিয়ে। দিনের খবর পাঠককে জানানোর দায়িত্ব ডেস্কের এই গুরুত্বপূর্ণ মানুষটির কাঁধে। তিনি তা যথার্থই সামলেছেন। তবে একথাও ঠিক, অতি সিম্পল ও সুদর্শন এই যুবক খেলার মাঠে সুঠাম দেহের অধিকারী প্রতিপক্ষের মনে কাঁপুনি ধরাতে পারতেন না। সেই চেষ্টাও তিনি করেননি।

বল পাসিং দিয়ে খেলার ইভেন্ট শুরু হয়। এ খেলায় অংশ নিতে কেউ বাদ যাননি। খেলা শুরু হলে দেখা গেল, সবাই জিততে চান। কেউ-ই হারতে চান না। এজন্য কেউ কেউ ‘নয়-ছয়’ করার চেষ্টাও করেন। তবে নোয়াখালী থেকে আসা সুজন মাওলা এবং তরুণীদের ক্রাশ নাজমুল হোসেনের কঠোর নজরদারিতে সেই অভিপ্রায় অবশ্য ভেস্তে যায়। খেলা শেষে দেখা গেল, কোকিলকণ্ঠী ইয়াসমিন সুমী কীভাবে যেন প্রথম হয়ে গেছেন। কী আর করা! বিচারকদের সিদ্ধান্ত সবাইকে মেনে নিতেই হয়।

ইবনুল কাইয়ুম সনি যে নৃত্যের সেরাদের সেরা, তা আবারো প্রমাণ করলেন। গতবারের বনভোজনে ফেরার পথে বাসে তার গেঞ্জিখোলা নৃত্য কেউ আজও ভুলতে পারেনি। এবার অবশ্য তিনি নৃত্য করলেন খেলার মাঠে ফুটবলে কিক করার সময়। বল কিক করে গোল দিতে পারায় তার কী যে উদাম নৃত্য! দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে আসা সাংবাদিকেরাও সাক্ষী হয়ে থাকলেন। তবে সনি কিন্তু এই ইভেন্টে পুরস্কার জিততে পারেননি। তিনি হিটের সময় টিকতে পারলেও জায়গামত ব্যর্থ হন।

এতসব আনন্দ আয়োজন যখন চলছে, তখন চোখে পড়লো রিসোর্টের এক কোণে ভারাক্রান্ত মনে গলা জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছেন বাংলা সিনেমার ভিলেন খ্যাত গিয়াস উদ্দিন সিজার এবং ‘শরীরটা ভ্যালা না’ খ্যাত সুঠাম দেহের ইসমাইল হোসেন। এত আনন্দ আয়োজন, কিছুই যেন তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। তারা বনভোজনের গেঞ্জিও পরেননি। হতে পারে, গেঞ্জি না পাওয়ায় তাদের মন খারাপ। বিতরণের দায়িত্বে থাকা রাহাত সাইফুল জানান, গেঞ্জির অভাব নেই। সমস্যা সাইজে। স্পেশাল অর্ডার দিয়েও চারজনের সাইজ মেলানো যায়নি। বাকি দুজন ডেস্কের ‘খুঁটি’ খ্যাত সৈয়দ আলী আল মাসুদ আর ফরিদপুর প্রতিনিধি তামিম ইসলাম। এই চারজনের দুঃখে উপস্থিত সকল সহকর্মী সমবেদনা প্রকাশ করেন। 

আনন্দ আয়োজনে স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরাদস্তুর একটা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়ে যায়। সারা বাংলার প্রতিনিধিদের দুটো দল, ডেস্কের একটি এবং ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের একটি। বুড়ো ক্রিকেটাররা ব্যাটে-বলে রীতিমত ঝড় তোলেন। কেউ হাত ফসকে এক রানকে চার দেন। কেউ ক্যাচ করে উচ্ছ্বাসে সীমারেখা পেরিয়ে ছয় দেন। কেউ ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে না পেরে বোল্ড হন। একটা চার মারতে পেরে মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমের উচ্ছ্বাস আর ঠেকানো যায় না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ঝালকাঠি থেকে আসা অলোক শাহাকে। আমাদের এক নারী সহকর্মী একের পর এক সমানে ব্যাট চালিয়ে ছয় মেরে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। কারণ, ছয় মারলে আউট।

ক্রিকেট খেলা নিয়ে আনন্দের মধ্যেও দুঃখজনক ঘটনা ঘটে যায়। ময়মনসিংহ প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান মিলন গর্তে পা পড়ে মেরুদণ্ডে ব্যথা পান। ব্যথা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে শোয়া থেকে উঠতে পারছিলেন না। ধরে তুলে দিলেও পা নাড়াতে পারছিলেন। উচ্চমাত্রার পেইন কিলার দিয়ে তাকে প্রাইভেট কারে করে অনেক কষ্টে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। জানি না, তাকে কত দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়। 

এই বনভোজন আয়োজন করা হয় মূলত প্রতিনিধিদের সঙ্গে অফিসে কর্মরতদের একত্রিত হওয়া এবং পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা আরো গভীর করার উদ্দেশ্যে। প্রতিনিধিরা থাকেন অফিস থেকে অনেক দূরে। প্রতিদিন অফিসের প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, কথা হয় কিন্তু দেখা আর হয় না। অফিসে কর্মরতরা প্রতিনিধিদের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে পরিচিত কিন্তু অনেককেই চেনেন না। প্রতিনিধি সম্মেলন সেই চেনা ও জানা, কাছাকাছি আসার সুযোগ তৈরি করে দেয়। প্রতিনিধি সম্মেলনে তারা তাদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। নির্বাহী সম্পাদক তাপস রায় এবং প্রকাশক এস এম জাহিদ হাসান তাদের দিক-নির্দেশনা দেন। সবাই রাইজিংবিডি ডটকম-কে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

খেলার মাঠের ইভেন্ট শেষ করতে করতে দুপুর গড়িয়ে যায়। তাড়াহুড়ো করে মাঠ থেকে চলে আসতে হয় রেস্তোরাঁয়। কিন্তু বহুদিন পরে ডুব দিয়ে গোসল করার সুযোগ কেউ কেউ হাতছাড়া করতে চাননি। হাফ প্যান্ট পরে লাফিয়ে পড়েন সুইমিং পুলে। নদীর স্বাদ সুইমিং পুলে মেটানো আরকি! সুইমিং পুলে লাফ-ঝাঁপ করে কেউ কেউ সেটা ভিডিওতে ধারণ করেন। কেউ আবার এই সুযোগে সাঁতার চেষ্টা করেন। 

দিনের শেষ আয়োজন ছিল র‌্যাফেল ড্র। ফ্রিজ, টিভি, রাইস কুকার, বিভিন্ন কোম্পানির গিফট ভাউচারসহ ছিল নানা পুরস্কার। এক একটি কুপন উঠতে থাকে, আর সবাই দুরু দুরু মনে অপেক্ষা করতে থাকেন। কুপন নম্বর প্রকাশের পর নিজের কুপনের সঙ্গে নম্বর মেলান সবাই। মিলে গেলে খুশিতে হাত উঁচু করে জানান দেন। কেউ কেউ আনন্দে মাঠ থেকে স্টেজের দিকে দেন দৌড়। মঞ্জুরুল আলম মুকুল তার কুপনের নম্বর মিলে গেলে ঊর্ধ্বশ্বাসে যে দৌড় দেন, তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। মুকুল দুটি পুরস্কার পেলেও সাব্বির আহমেদ তনু ছিল আরো এগিয়ে। তিনি একে একে পেয়ে যান তিনটি পুরস্কার। যদিও এদিক থেকে সবার থেকে এগিয়ে অফিসের ‘লাজুক বালক’ খ্যাত মনিরুল হক ফিরোজ। তিনি প্রথম পুরস্কার ফ্রিজসহ জিতে নেন দুটি পুরস্কার। কেউ কেউ একাধিক পুরস্কার পেলেও কারো কারো ভাগ্যে পুরস্কারে শিকে আর ছেঁড়েনি। তাদের পরবর্তী বনভোজনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে। নির্বাহী সম্পাদক তাপস রায়ের উপস্থাপনায় র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান ছিল আকর্ষণীয়।

আমরা যারা প্রতিনিয়ত রুটিন মাফিক কাজ করতে এবং সংসার সামলাতে সামলাতে হাঁপিয়ে উঠি, তাদের একগুঁয়েমি এবং অবসাদ পেয়ে বসে। তাদের মাঝে-মধ্যে প্রয়োজন গণ্ডি পেরিয়ে নিরিবিলি-নির্জনতায় কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যাওয়ার। প্রকৃতির রূপ-রস-ঘ্রাণ আস্বাদন করতে পারলে জীবনে ভিন্ন মানে খুঁজে পাওয়া যায়। সেদিন ছায়া-ঢাকা, পাখি-ডাকা বংশী নদীর পাড়ে বসে জীবনের যে উপলব্ধি হয়েছে, তা স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে বহুকাল।

ঢাকা/এনএইচ 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র এক

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনগুলোয় প্রথম আলোর জমজমাট আয়োজন

২৭ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে প্রথম আলোর। ৪ নভেম্বর ২০২৫ সংখ্যাটিতে লেখা থাকবে বর্ষ ২৮, সংখ্যা ১। যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো—এই স্লোগান নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বরে বেরিয়েছিল প্রথম আলোর প্রথম সংখ্যা। ঝকঝকে ছাপা, রঙিন ছবি, ১২ পৃষ্ঠার কাগজ, প্রতিদিন নতুন নতুন ফিচার পাতা, দলনিরপেক্ষতার অঙ্গীকার, বস্তুনিষ্ঠতার চর্চা, পেশাদারত্বের উৎকর্ষ আর নতুনকে মেনে নেওয়ার অবিরাম প্রয়াস—সব মিলিয়ে প্রথম আলো হয়ে ওঠে বাংলাদেশের মানুষের এক অপরিহার্য সঙ্গী। হয়ে ওঠে পরিবারেরই একজন। অল্প কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম আলো লাভ করে সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের সম্মান। নানা রকমের বাধা, প্রতিকূলতা পেরিয়ে সত্যে তথ্যে প্রথম আলো আজ শুধু একটা কাগজ নয়, একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে প্রথম আলো লাভ করেছে বাংলাভাষী পাঠকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, তেমনি ওয়ান–ইফরা বা ইনমার মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে এ গণমাধ্যম লাভ করছে সম্মানজনক স্বীকৃতি, বিশ্বসেরা আর এশিয়া সেরার পুরস্কার।

প্রথম আলোর ঢাকা অফিস থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে বেজে উঠেছে উৎসবের আনন্দলহরী। জেলায় জেলায় চলছে প্রথম আলোর লেখক–সুধী পাঠক আর শুভানুধ্যায়ীদের সম্মিলনীর প্রস্তুতি। কাগজে, অনলাইনে, ভিডিও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্য কর্মী আর অংশীজনদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে কর্মচাঞ্চল্য।

প্রথম আলো কাগজটি মোট ৪ দিন প্রকাশিত হবে বর্ধিত কলেবরে। ৪ দিনে থাকবে ৪টি ক্রোড়পত্র। লিখবেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরা লেখকেরা। থাকবে দেশবরেণ্য শিল্পীদের আঁকা প্রচ্ছদ।

৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার বের হবে ‘বৈষম্য পেরিয়ে’

২০২৪ সালের বিপুল অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা পথে এসেছিল বৈষম্যের বিলোপ চেয়ে। এই ক্রোড়পত্রে লেখকেরা খুঁজে দেখছেন রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামোয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও রাজনীতির অঙ্গনে বৈষম্যের রূপ। খোঁজার চেষ্টা করেছেন উত্তরণের উপায়।

৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার প্রকাশ পাবে ‘বৈষম্যের অন্দরে’

সমাজ আর জনগোষ্ঠীর গভীরে থেকে যাওয়া বৈষম্য প্রতিফলিত হয় রাষ্ট্রে। আবার রাষ্ট্রীয় বৈষম্য সামাজিক বৈষম্যকে ভিত্তি দেয়। দেশের নারী–লেখক ও ভাবুকেরা উন্মোচন করে দেখিয়েছেন সমাজে ছড়িয়ে থাকা নানা বৈষম্যের চেহারা।

৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার আসছে ‘তারুণ্যের দিগন্ত’

তরুণদের সামনে নতুন পৃথিবীর আহ্বান। কিন্তু সে আহ্বানে সাড়া দেওয়ার পথে শত বাধা ও বৈষম্যের প্রাচীর। আবার তরুণেরাই সেসব বৈষম্যের বাধা উপড়ে ফেলে এগিয়ে চলেন। তরুণদের পথের সেসব বাধা আর বাধা পেরোনোর গল্প নিয়ে এই ক্রোড়পত্র।

৭ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার প্রকাশিত হবে ‘আলোর গল্প’

সাংবাদিকতা শেষ পর্যন্ত জনমানুষের জন্য। সত্য ও তথ্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য প্রথম আলো সেসব মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। প্রথম আলোর নানা উদ্যোগের লক্ষ্যও মানুষ। এই ক্রোড়পত্র গত একটি বছরে প্রথম আলোর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গল্পের সমাবেশ।

অনলাইনে থাকছে আকর্ষণীয় আয়োজন

লেখা, ছবি, ভিডিও, পডকাস্টসহ নানা কনটেন্ট দিয়ে সাজানো হবে প্রথম আলো ডটকম, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দালোকিত দিনগুলোতে প্রথম আলো ডটকম থাকবে জমজমাট। পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রথম আলোর ফলোয়ারদের জন্য থাকবে বাড়তি কিছু, উৎসবের উপহার।

প্রথম আলোর কর্মীরা মিলবেন প্রীতিসম্মিলনীতে

৪ নভেম্বর প্রথম আলো তার সব কর্মীকে নিয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে প্রীতিসম্মিলনী। রাজধানীর একটি বড় মিলনায়তনের একাধিক হলরুমজুড়ে বসবে এই আসর। তাতে সারা দেশের প্রথম আলো প্রতিনিধি, ঢাকার সর্বস্তরের স্টাফদের সঙ্গে যোগ দেবেন প্রথম আলোর আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরাও। থাকবেন অতিথি বক্তা ও শিল্পীরা।

প্রথম আলো বন্ধুসভার একটি করে ভালো কাজ

এরই মধ্যে সারা দেশে প্রথম আলোর শতাধিক বন্ধুসভা ‘একটি করে ভালো কাজ’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সুধী সম্মিলনী আয়োজনের জন্য প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বন্ধুসভা কাজ করে চলেছে উৎসাহের সঙ্গে। ঢাকা বন্ধুসভাও ১৩ নভেম্বর আয়োজন করতে যাচ্ছে বন্ধুদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব।

২০২৩ সালে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান ছিল ‘হারবে না বাংলাদেশ।’ গত বছর প্রথম আলো বলেছিল ‘জেগেছে বাংলাদেশ’। সত্যে তথ্যে ২৫, সত্যে তথ্যে ২৬ পেরিয়ে এল ২৭ বছর পূর্তির উৎসব।

প্রথম আলো আজকের দিনে, যখন চারদিকে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি, যখন দেশবাসী অনিশ্চয়তার ধোঁয়াশার মধ্যে দিগন্তে তাকিয়ে আছেন আলোকরেখার জন্য, তখন প্রথম আলো ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কী স্লোগান নিয়ে আসছে? জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনগুলোয় প্রথম আলোর জমজমাট আয়োজন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এআই খাতের অনেক বিনিয়োগই ব্যর্থ হতে পারে, আশঙ্কা বিল গেটসের