নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর করা আট অভিযোগে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাদশা মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিপা আক্তার।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাঠানো এক নোটিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোবিপ্রবির আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদ ও নিপা আক্তার বিশ্ববিদ্যাালয় প্রশাসন বরাবর বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এসব কমিটি আনা অভিযোগগুলোর সত্যতা খুঁজে পায়।

অভিযোগগুলো সরকারী কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ২(খ) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ধারা ৪৭ (৮) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এজন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী চাকরি থেকে অপসারণ/বরখাস্ত করা হবে না, তা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার  বরাবর প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থনে যদি কোন বক্তব্য থাকে, তাও নোটিসের জবাবে লিখিত আকারে উপস্থাপনের বিষয়ে বলা হলো। 

নোটিশে অভিযোগের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক বাদশা মিয়ার কাছে ২০২০ সালে ১৯ অক্টোবর ফয়েজ আহমেদের বড়ভাই রাজু আহমেদ কারণ দর্শানো নোটিসের জবাব এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন অগ্রায়ণের জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি তা অগ্রায়ণ না করে দায়িত্ব অবহেলা করেছিলেন। এছাড়াও বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদকে শিবির আখ্যায়িত করে নৈতিক স্খলন ঘটিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক বাদশা মিয়ার কাছে ফয়েজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যগণ ১১ বার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে একাধিকবার আসলেও তাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে অসদাচরণ করেন। অভিযুক্ত বাদশা মিয়া ফয়েজ আহমেদের আবেদন অগ্রায়ণ না করায় তার শিক্ষা জীবনের মূল্যবান চারটি বছর নষ্ট করার ক্ষেত্রে সরাসরি জড়িত থেকে অসদাচরণ করেছেন।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, বাদশা মিয়ার কাছে ফয়েজ আহমেদের পরিবারের সদস্যরা ও ফয়েজ আহমেদ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদনপত্র অগ্রায়ণের জন্য গেলে তিনি তাদেরকে মানসিকভাবে হেনস্থা করে দায়িত্ব অবহেলা এবং অসদাচরণ করেছেন। ফয়েজ আহমেদের একটি আবেদনপত্র অগ্রায়ণ করতে ২ বছর সময় নিয়ে দায়িত্বে অবহেলা এবং অসদাচারণ করেছেন।

বিভাগের শিক্ষার্থী নিপা আক্তারকে নিকাব পরিধান করে ধর্মীয় বিধান পালনের ক্ষেত্রে হেনস্তার শিকার করে নৈতিক স্খলন ঘটিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী নিপা আক্তারকে ব্যক্তিগতভাবে চেনার পরেও অযথাভাবে শ্রেণিকক্ষে বারবার পরিচয় জানতে চেয়ে অসদাচরণ করেছেন।

এর আগে, অভিযুক্ত শিক্ষক বাদশা মিয়াকে রিজেন্ট বোর্ডের ৬৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করার অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে ২ বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ব দশ

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর