সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার প্রাপ্ত ঔপন্যাসিক ইশরাত জাহান ঊর্মি। গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ‘নারীবাদ বিষয়ক কলাম’ লেখেন তিনি। ২০২৫ বইমেলায় রয়েল প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে ইশরাত জাহান ঊর্মির নারী বিষয়ক বই ‘অন্যপক্ষ’। এতে প্রচলিত অর্থে নারীর সুখের কথা বা দুঃখের কথা নেই, এই বইতে নারীর নিজের যে একটা ‘এজেন্সি’ আছে, বলার মতো ‘ভয়েস’ আছে সেই বিষয়ে বলেছেন সংগ্রামী নারীরা—এমনটাই জানিয়েছেন ইশরাত জাহান।

যাদের কথা থাকছে এই বইয়ে, তারা হলেন— ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, সুলতানা কামাল, হালিদা হানুম আখতার ও মনজুন নাহার, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তাসমিমা হোসেন, মিতা হক, শামীম আজাদ, সূবর্ণা মুস্তাফা, কমলা ভাসিন, আজমেরী হক বাঁধন এবং তাসনুভা শিশির।

ইশরাত জাহান ঊর্মি বলেন, ‘‘নারীকে সবসময় ‘অপরায়ন’ করা হয় সমাজ সংসার রাষ্ট্রে, সেখান থেকেই ডিবিসি নিউজ এর নিয়মিত নারীবাদ বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘অন্যপক্ষ’। সেই নামেই বই।’’

আরো পড়ুন:

বইমেলার ৮ম দিনে ১০২ নতুন বই প্রকাশিত

বইমেলায় প্রবন্ধ সংকলন ‘বিংশ একবিংশ’

ইশরাত জাহান ঊর্মির চাওয়া—  নারীর অধিকারের সংগ্রামকে যারা এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাদের হারিয়ে যেতে না দেওয়া।

প্রাপ্তিস্থান: রয়েল প্রকাশনী
স্টল নন্বর: ৪১৩-১৪
 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ