জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষা চারটি শিফটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিতির হার ছিল ৮৬.২৭ শতাংশ।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা মোট পাঁচটি শিফটে অনুষ্ঠিত হয়। এতে তাদের উপস্থিতির হার ছিল ৮৩.

৮০ শতাংশ। গড়ে ইউনিটটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল ৮৫.৩৩ শতাংশ।

এছাড়া পঞ্চম শিফটে আইবিএ-জেইউ (ছেলে-মেয়ে উভয়) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ৭২ শতাংশ ভর্তিচ্ছু।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের প্রথম শিফটের পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে চতুর্থ শিফটের মাধ্যমে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে (৫ম শিফট) আইবিএ-জেইউ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।

জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, “জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে ছাত্রীদের আসন সংখ্যা ১৫৫টি এবং ছাত্রদের আসন সংখ্যা ১৫৫টি। এর মধ্যে গতকালের ছাত্রীদের পরীক্ষায় ৪৭ হাজার ৬৯২টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৩৯ হাজার ৯৬৮ জন ভর্তিচ্ছু।”

তিনি বলেন, “সোমবার অনুষ্ঠিত ছাত্রদের পরীক্ষায় ৩৯ হাজার ৭৬ জন পরীক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩৩ হাজার ৭১২ জন। সে হিসেবে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮৩.৮০ শতাংশ এবং ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮৬.২৭ শতাংশ।”

‘ডি’ ইউনিটের ফলাফলের ঘোষণার ব্যাপারে তিনি বলেন, “আজ রাত অথবা মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে।” 

উপস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকালে অনুষ্ঠিত ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম শিফটে উপস্থিতির হার ছিল ৮২ শতাংশ, দ্বিতীয় শিফটে ৮২ শতাংশ, তৃতীয় শিফটে ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ শিফটে ৮১ শতাংশ এবং পঞ্চম শিফটে ৮২ শতাংশ।

সোমবার অনুষ্ঠিত ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম শিফটে উপস্থিতির হার ছিল ৮৫.২৯ শতাংশ, দ্বিতীয় শিফটে ৮৬.২৭ শতাংশ, তৃতীয় শিফটে ৮৬.৭৩ শতাংশ এবং চতুর্থ শিফটে ৮৬.৭৯ শতাংশ।

আইবিএ-জেইউ ইউনিটের পরীক্ষার বিষয়ে ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ-জেইউ) পরিচালক অধ্যাপক আইরীন আক্তার বলেন, “আইবিএ-জেইউ ইউনিটে ৫০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৬৮৮টি। পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪৪৭ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সে হিসেবে উপস্থিতির হার ছিল ৭২ শতাংশ।”

আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটে প্রথম শিফটে ছাত্রী এবং দ্বিতীয় শিফটে ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটে মোট আসন ২০০টি। আবেদন পড়েছে ১৫ হাজার ১৮১টি। আসনপ্রতি লড়বেন ৭৬ জন ভর্তিচ্ছু। 

পরের তিনটি শিফটে গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ‘এ’ ইউনিটে ৫ শিফটে ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে মোট আসন ৪২৬। আবেদন পড়েছে ৭৩,১৬১টি। আসন প্রতি লড়বেন ১৭২ জন। 

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও ফলাফল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত র হ র ছ ল উপস থ ত ছ ল ন দ র উপস থ ত ট র পর ক ষ পর ক ষ য় ইউন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

এ দেশে খুচরা ব্যাংকিং বন্ধ করে দিচ্ছে এইচএসবিসি

বাংলাদেশে খুচরা (রিটেইল) ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)। ফলে বহুজাতিক এই ব্যাংকে আর কোনো ব্যক্তি আমানত ও ঋণসংক্রান্ত সেবা পাবেন না। তবে খুচরা ব্যাংকিং ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্তটি হুট করে কার্যকর করা হবে না। ধাপে ধাপে গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে এই সেবা বন্ধ করা হবে। এইচএসবিসির গ্লোবাল এক পর্যালোচনায় বাংলাদেশ থেকে খুচরা ব্যাংকিং ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যাংকটি আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

খুচরা ব্যাংকিং সেবার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত হিসাব, গাড়ির ঋণ, বাড়ি কেনার ঋণ, বিমাসেবা, মেয়াদি বিনিয়োগ, ব্যক্তিগত অর্থায়ন। এর মধ্যে প্রচলিত ও শরিয়াহ দুই ধরনের সেবা রয়েছে। এসব সেবায় এখন নতুন গ্রাহক যুক্ত করা বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংকটি। ব্যাংকটির ওয়েবসাইটেও এ–সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সাল শেষে এইচএসবিসি বাংলাদেশের আমানত ছিল ২২ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা এবং ঋণ ও অগ্রিম ছিল ১৮ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। গত বছর ব্যাংকটির মুনাফা বেড়ে হয় ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। সারা দেশের ৮টি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় ব্যাংকটির ব্যবসাকেন্দ্র রয়েছে। সারা দেশে শাখা ও উপশাখা রয়েছে সাতটি। এ ছাড়া পাঁচটি ‘সিলেকট’ সেন্টারের মাধ্যমে বিশেষ ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে বহুজাতিক এই ব্যাংক। সারা দেশে ব্যাংকটির এটিএম বুথ রয়েছে ১১টি।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এইচএসবিসি জানিয়েছে, ব্যাংকটি বাংলাদেশে তাদের রিটেইল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করছে। এই প্রক্রিয়া এ বছরের দ্বিতীয় অংশে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে। বাংলাদেশে রিটেইল ব্যবসায় এইচএসবিসির বাজার অবস্থান ও এই ব্যবসার কৌশলগত অবস্থানকে বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিটেইল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ধাপে ব্যাংকটি তাদের গ্রাহকদের অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে করপোরেট ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিং ব্যবসা এ ঘোষণার আওতামুক্ত থাকবে। বাংলাদেশের কমার্শিয়াল ব্যাংকিং ব্যবসাটি এইচএসবিসির আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেট হিসেবেই থাকছে। এইচএসবিসি গ্রুপ বাংলাদেশের করপোরেট ও ইনস্টিটিউশন ব্যাংকিং তথা করপোরেট গ্রাহকদের সেবা প্রদানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং ওই ব্যবসায় ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্টে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী গ্রুপটির কার্যক্রম আরও সহজতর করার একটি অংশবিশেষ, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ঘোষণা করা হয়। যেসব দেশে এইচএসবিসির পরিষ্কার প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে, সেই সব দেশে ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদানে গুরুত্ব অব্যাহত রাখবে।

জানা যায়, খুচরা ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করলেও বাংলাদেশে আমদানি-রপ্তানিসহ করপোরেট ও কমার্শিয়াল ব্যাংকিং ব্যবসার প্রসার অব্যাহত রেখেছে ব্যাংকটি। ফলে ব্যাংকটির মুনাফাও বাড়ছে। এইচএসবিসি বাংলাদেশ তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০২৪ সালে এক হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। বহুজাতিক ব্যাংকটি ২০২৩ সালে ৯৯৯ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে। ২০২২ সালে এইচএসবিসির নিট মুনাফা ছিল ৫৮৭ কোটি টাকা।

ব্যাংকের ২০২৪ সালের প্রকাশিত আর্থিক বিবরণীতে বলা হয়েছে, সুদের আয় বৃদ্ধি, আমানতের খরচ কমা এবং বিনিয়োগ থেকে ভালো আয় হওয়ায় রেকর্ড মুনাফা করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটির নিট সুদ আয় ৩৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকায়। আমানতের ওপর সুদ ২০ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া ঋণ থেকে সুদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।

এ ছাড়া ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় এইচএসবিসি আয় করেছে ৯৯২ কোটি টাকা, যার মধ্যে মূলধন লাভও রয়েছে। এ আয় আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৬৮ শতাংশে।

এইচএসবিসি ১৯৯৬ সালে ঢাকায় প্রথম শাখা চালু করে। ব্যাংকটির মূল প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি হোল্ডিংস পিএলসি। বাংলাদেশে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় গুলশানের লিংক রোডে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে’
  • জুলাই ডকুমেন্টরিতে ‘ফুটেজ’ না থাকায় জাবি ছাত্রদল নেতার হট্টগোল
  • জুলাইয়ের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স ২৩৬ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
  • নির্বাচনের রোডম্যাপে কবে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ
  • ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
  • এ দেশে খুচরা ব্যাংকিং বন্ধ করে দিচ্ছে এইচএসবিসি
  • জন্মহার বাড়াতে চীনের নতুন উদ্যোগ, শিশুদের জন্য মা-বাবা পাবেন ভাতা
  • সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • ‘রাষ্ট্রীয় শোক’ প্রত্যাখ্যান
  • রংপুরে হিন্দুপাড়ায় হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল