বন্ধ হচ্ছে ৪৯ কোটি টাকায় নির্মিত বাল্লা স্থলবন্দর
Published: 11th, February 2025 GMT
প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দর প্রাথমিকভাবে বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত এক কমিটি বাল্লাসহ অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন ৬টি স্থলবন্দর বন্ধের এই সুপারিশ করে।
কমিটির সদস্যরা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এগুলো দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি। অধিকন্তু এর মাধ্যমে দেশের অর্থ অপচয় হয়েছে।”
জানা যায়, সাবেক নৌসচিব অশোক মাধব রায়ের ইচ্ছায় ৪৯ কোটি টাকায় বাল্লা স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়। সাড়ে ছয় বছর আগে নেওয়া এই প্রকল্প ২০২৩ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। এই প্রকল্পের আওতায় একটি আদর্শ স্থলবন্দরে যা কিছু দরকার, তার সব কিছুই নির্মাণ করা হয়। ইয়ার্ড, ওজন মাপার যন্ত্র, অফিস ভবন, ডরমিটরি, সীমানাপ্রাচীর, সড়ক, বিভিন্ন পরিষেবার সব সুবিধাই এখানে রয়েছে। তবে পাশের দেশ ভারতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় এ স্থলবন্দরটি চালু হয়নি।
অতীতে দেশের যত স্থলবন্দর উন্নয়ন করা হয়েছে, তার প্রতিটির বিপরীতে ভারতীয় অংশে অন্তত একটি শুল্কস্টেশন ছিল। কিন্তু বাল্লা স্থলবন্দর প্রকল্পের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে।
স্থলবন্দর স্থাপনে প্রভাবশালীদের হাত প্রভাব খাঁটিয়ে স্থলবন্দর ঘোষণার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। মূলত স্থানীয় জনগণের কাছে রাজনৈতিক সুবিধা বা সহমর্মিতা পেতে প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিরা স্থলবন্দর ঘোষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি মনোযোগী হন।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়া দিয়ে ভারত থেকে এলো সাড়ে ১২ টন জিরা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে জিরা আমদানি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২ টন জিরা বন্দরে খালাস করা হয়। এর আগে সোমবার ১২ টন জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
জানা গেছে, সারা এগ্রো এনিমাল হেলথ এবং সততা ট্রেডিং নামে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। কাস্টমস ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আখাউড়া স্থলবন্দরের মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আখাউড়া কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি কেজি জিরা প্রায় ৩ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭ টাকায় আমদানি করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে মোট ৩৬.৫ টন জিরা আমদানি হয়েছে, যার মাধ্যমে ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, চলতি বছরে এর আগেও কয়েকবার এই বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে। ঈদুল আজহা সামনে রেখে আরও আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে।