ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, “আমরা গত ৫৩ বছর সংসদে যেতে পারি নাই, কারণ স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়েছে। ওরা ক্ষমতায় বসলে ইসলাম আর ইসলামি দলের কথা ওদের মনে থাকে না। আমাদেরকে ব্যবহার করে ইসলামকে আর যেন ধ্বংস করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা চাই বাংলার জমিনে ইসলাম বীর দর্পে বৃক্ষ রোপণের চেয়েও শক্তিশালী হোক।”

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “অনেকে ভয় দেখায়, ইসলাম ক্ষমতায় আসলে যদি কেউ চুরি করে তাহলে তার হাত কর্তন করে দেওয়া হয়। যদি এমনই হতো তাহলে বাংলাদেশের নেতাদের হাত থাকবেই না। আসলে বাস্তবতা হলো ইসলাম সকল মানুষদের হাত কর্তনের নির্দেশ দেয় নাই। বাংলাদেশের মধ্যে যে এমপি-মন্ত্রীরা স্বভাবী চোর। এদের মধ্যে যদি একটির হাত কর্তন করা হয়, তাহলে পুরো বাংলাদেশ চোরমুক্ত হবে।”

রেজাউল করিম আরো বলেন, “আল্লাহ আজকে আমাদেরকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো তৌফিক দান করেছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ছোট মনে করলে হবে না। যখন দেশে কোন ষড়যন্ত্র হয় তখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার প্রতিবাদী হয়ে রাজপথে আওয়াজ তোলে তখন বদমাইশদের কলিজা থরথর করে কাঁপন ধরে।”

চরমোনাই পীর আরো বলেন, “আমি আমার ভাইদের বলবো, ইসলামের বাইরে থাকার কোন সুযোগ নেই। মুসলমান থাকবে ইসলামের সঙ্গে। আর অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা থাকবে শান্তির লক্ষ্যে। আপনারা দেখে থাকবেন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে যুব কনভেনশনে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব তার বক্তব্যে বলেছেন, কথা কাজে ঠিক পাই, পীর সাহেব চরমোনাই।”

ছাত্র-জনতা আন্দোলনের স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, “আজকে ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য রাজপথে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে পাখির মতো রাজপথে লুটিয়ে দেয়া হয়েছে আমরা বসে বসে দেখবো এটি হতেই পারে না।”

ঢাকা/ইমরান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চরম ন ই ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ