ডা. এনাম রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-শম্ভু-মামুন
Published: 12th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা জেলার সাভারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাইয়ুমকে হত্যার মামলায় সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিন এ আদেশ দেন। সাভার থানার আরো ৬ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে, আশুলিয়া থানার এক হত্যা মামলায় ডা.
ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা উল্লিখিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এক মামলায় ডা. এনামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই চার জনকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে আশুলিয়া থানার দুই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাদের এজলাসে তোলা হয়।
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সালমান এফ রহমান তার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কোন মামলা? তাকে আইনজীবী জানান, আশুলিয়া থানার মামলা। সালমান এফ রহমান আবার জানতে চান, শ্যোন অ্যারেস্ট? আইনজীবী বলেন, হ্যাঁ। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে থাকেন তিনি।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকেও তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। তবে, নীরব ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ডা. এনামুর রহমানকে দেখতে আসেন তার ছেলে। চোখ ও হাতের ইশরায় যোগাযোগ করেন তারা। পরে এনামুর রহমানের ছেলেকে বের করে দেয় পুলিশ।
এরপর গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
পরে ডা. এনামুর রহমানকে নেওয়া হয় সাভার মডেল থানার ৭ মামলার শুনানিতে। অপর তিন জনকে কারাগারে নেওয়া হয়।
প্রথমে ছয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভার বাসস্ট্যান্ডে ৫ আগস্ট দুপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী কাইয়ুম। এ ঘটনায় তার মা কুলছুম বেগম সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইনজ ব র র কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
আট বছর ধরে গাড়ি চালানোর পেশায় আছেন মো. শাহীন। প্রথমে চালাতেন ট্রাক, এখন যাত্রীবাহী বাস। তবে এটা তার মূল কারবারের আড়াল মাত্র। বাস চালানোর আড়ালে তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আনেন ইয়াবার বড় চালান। প্রতি চালানে ১০–২০ হাজার পিস ইয়াবা থাকে। এগুলো পৌঁছানোর বিনিময়ে তিনি পান মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ছয়টি চালান এনে তিনি অন্তত ছয় লাখ টাকা পান। ফলে লাভজনক এ কারবারে তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছেন।
সম্প্রতি রাজধানীর পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে বাসচালক শাহীন ও সুপারভাইজার সঞ্জিত রাজবংশীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ওই সময় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এই চালানটি ঢাকার গাবতলী এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।
ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ জানান, আন্তঃজেলা বাসের চালক–হেলপারদের একটি অংশ মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন রুটের পরিবহনকর্মীদের মাদকসংশ্লিষ্টতার তথ্য পেতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস পূর্ব রামপুরার মোল্লা টাওয়ারের সামনে থামানো হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে চালক ও সুপারভাইজার স্বীকার করেন, তাদের কাছে মাদকদ্রব্য আছে। এরপর তাদের দেখানো অনুযায়ী চালকের আসনের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন ডিএনসি ধানমন্ডি সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, শাহীনের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই বছর ধরে তিনি বাসে মাদক পরিবহনের কাজ করেন। এর আগে ট্রাক চালানোর সময় অন্য চালকদের মাধ্যমে এ কারবারের বিষয়ে জানতে পারেন। পরে টেকনাফের মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ও সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি প্রতি ১০ হাজার পিস ইয়াবা ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আনুমানিক এক লাখ টাকা করে পান। এবারের চালানের জন্য পেতেন দেড় লাখের কিছু বেশি। তবে পৌঁছানোর আগেই তিনি ও তার সহযোগী ধরা পড়েন।
অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইয়াবার চালানের প্রেরক ও প্রাপকসহ আরও কয়েকজনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো চক্রটিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।