জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের ঘটনায় জাতিসংঘের তথ্য-অনুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদন আজ প্রকাশ করা হবে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিট) এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক সংবাদ সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন। এ সময় আরো উপস্থিত থাকনে এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন, মানবাধিকার কর্মকর্তা জ্যোৎস্না পৌড়িয়াল এবং প্রধান মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘের ওয়েব টিভিতে সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের তদন্ত করেছে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের নিযুক্ত পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল ১৬ সেপ্টেম্বর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করে।

মিশনটি দেশের বিভিন্ন এলাকা সফর করে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়ে সরাসরি তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন মানুষজন, গোষ্ঠী ও সংস্থার সঙ্গে কথা বলে।

এরইমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রতিবেদন শেয়ার করেছে মিশন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে, ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর ৫-৬ আগস্টের মধ্যে নিহত হন ২৫০ জন।

ঢাকা/হাসান/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 
  • রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ