ক্যাপ্টেন মো. আব্দুল বাসিত মাহতাবকে সভাপতি এবং ক্যাপ্টেন সাদাত জামিলকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা)। 

বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিমানের জনসংযোগ বিভাগ। গত মঙ্গলবার রেজিঃ নং বি-২১৪৬ এর ২০২৫-২০২৬ সনের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিমান কর্মকর্তারা।

কমিটিতে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ক্যাপ্টেন মো.

মেহেদী হাসান। এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন ক্যাপ্টেন মুনতাসির মাহবুব, যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন) পদে ক্যাপ্টেন মানব দীপ্ত, যুগ্ম-সচিব (অপারেশনস) পদে ফার্স্ট অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ এবং যুগ্ম-সচিব (সাম্প্রতিক বিষয়াবলী) পদে ক্যাপ্টেন আতিয়াব যুবায়ের নির্বাচিত হয়েছেন।

নতুন কমিটির নির্বাহী সদস্যরা হলেন ফার্স্ট অফিসার মো. সোলাইমান, মহসিন কামাল, শামির উদ্দিন আহমেদ, আবু জাফর মাহমুদ রাফসান, মো. রুবাব ইসলাম খান ও আলাউদ্দিন আল নোমান।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা বোসরা ইসলাম সমকালকে জানান, বাপা হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিবন্ধিত ট্রেড ইউনিয়ন এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (ইফালপা) একটি সক্রিয় সদস্য। এটি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে থাকে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ