জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডার সংশ্লিষ্ট ‘সংস্কার বা পুনর্গঠন প্রস্তাব’ না থাকায় অস‌ন্তোষ তৈ‌রি হ‌য়ে‌ছে বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) অ্যাসোসিয়েশনে। তারা এই বৈষম্য দূর ক‌রে অ‌বিলম্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সু‌নি‌র্দিষ্টভা‌বে বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডারদের বিষ‌য়ে দিক নি‌র্দেশনাসহ একা‌ধিক দা‌বি বাস্তবায়‌নের দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছে।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা) অ্যাসোসিয়নের সভাপ‌তি সভাপতি মর্জিয়া হক ও সাধারণ সম্পাদক মো.

আবুল কাশেম স্বাক্ষ‌রিত এক বিবৃ‌তি‌তে এসব দা‌বি জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

বিবৃ‌তি‌তে বলা হয়, সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডারের অবস্থান কি হবে সেটা প্রতিফলিত হয়নি। উক্ত প্রতিবেদনের সংযুক্তি ৮ (বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস পুনর্গঠন প্রস্তাব) এ বিদ্যমান সিভিল সার্ভিসসমূহ কলামে বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) এর নাম উল্লেখ করা হয়নি। উক্ত কলামে ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ’ নামে একটি ক্যাডারের নাম উল্লেখ আছে কিন্তু বাস্তবে এই নামে কোন ক্যাডারের অস্তিত্ব নেই। অর্থাৎ প্রতিবেদনে পরিবার কল্যাণ অংশের তথা ‘বাংলাদেশ সিভিল সিার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা)’ ক্যাডারের কোন অবস্থান নেই।

তারা জানান, বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডার বাংলাদেশ সরকারের সিভিল সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত একটি সাধারণ ক্যাডার। উক্ত ক্যাডারে সর্বমোট ৩৩১ জন ক্যাডার কর্মকর্তা রয়েছেন, যদিও পদ সংখ্যা আরও বেশি। উক্ত ক্যাডারের অধীন প্রায় ৫৫,০০০ জনবল কর্মরত রয়েছেন। তারা সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ জনসংখ্যা নীতিসহ পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা এবং পুষ্টি কার্যক্রমসহ বাল্যবিবাহ রোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় অর্গানের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কর্মসম্পাদনকারী এই বিশাল জনবলের নেতৃত্বদানকারী একটি সাধারণ ক্যাডারের ভবিষ্যত অবস্থান কোথায় হবে তার কোন নির্দেশনা উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।

তাছাড়া সংস্কার ক‌মিশ‌নের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিসের অধীন দুটি উপসার্ভিস এর কথা বলা হয়েছে। উক্ত সার্ভিসটি যদি পুরোপুরি কারিগরি খাত হয়ে থাকে তবে বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডারের অবস্থান কি হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা/প্রস্তাব উক্ত সংস্কার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি ।
  
বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডারের দাবিসমূহঃ

১. অফিস প্রধানের পদ উপজেলা পর্যায়ে ৬ষ্ঠ গ্রেড, জেলা পর্যায়ে ৫ম গ্রেড ও বিভাগীয় পর্যায়ে ২য় গ্রেড নির্ধারণ, বিভাগীয় কার্যালয়ে ৩য় গ্রেডের কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি;

২. ব্যাচ ভিত্তিক পদোন্নতি নিশ্চিত করা; বিকল্প হিসেবে সার্ভিস লেন্থ বিবেচনায় পদোন্নতি না হলেও গ্রেড নিশ্চিত করা; (যেমন, ৫ বছরে ষষ্ঠ, ১০ বছরে পঞ্চম এভাবে ধাপে ধাপে ২৫ বছরে গ্রেড ১)।

৩. উপ‌জেলা  স্বাস্থ্য ও প‌রিবার প‌রিকল্পনা কর্মকর্তার পদবী থে‌কে ‘প‌রিবার প‌রিকল্পনা’ অংশ কর্তন করা; (১৯৮৫ সা‌লে স্বাস্থ্য ও প‌রিবার প‌রিকল্পনা ক্যাডার থে‌কে প‌রিবার প‌রিকল্পনা ক্যাডার স্বতন্ত্র করা হ‌লেও উপ‌জেলা স্বাস্থ্য ও প‌রিবার প‌রিকল্পনা কর্মকর্তার পদবী থে‌কে প‌রিবার প‌রিকল্পনা অংশ কর্তন করা হয়‌নি বিধায় উক্ত অংশ কর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণ)।

৪. সিলেকশন গ্রেড পুন:বহালকরণ।

৫. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকল ক্যাডারের জন্য ন্যূনতম একটি করে ডেপুটেশন পদ সৃজন।

৬. বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, উচ্চতর প্রশিক্ষণ, উচ্চতর শিক্ষা প্রদান শেষে ডিগ্রি প্রদান ইত্যাদি জনসেবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কার্যাবলীতে অন্তর্ভুক্তকরণ। জনসেবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সকল ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ। ক্যাডার সংশ্লিষ্ট বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের জন্য ক্যাডারের অধীন পৃথক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে স্থাপন।

৭. প্রাইমারি হেল্থ কেয়ার কার্যক্রম পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সংঙ্গে যুক্ত করা (উপজেলা নিচের সকল সেবা কার্যক্রম পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নিশ্চিত করবে)

সাধারণ দাবিসমূহ:

১. ভিত্তি পদ হতে শুরু করে সকল স্তরে সকল ক্যাডারের মর্যাদা, সুযোগ সুবিধা ও কার্য সম্পাদনের স্বাধীনতা সমান হতে হবে। বিভিন্ন স্তরে কমিটি এবং কার্যক্রমের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে স্তরভিত্তিক সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ দপ্তর প্রধান মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন।

২.বিভিন্ন ক্যাডারের কাঠামো এবং স্তর ভিত্তিক পদ/পদবী/ গ্রেড এর সাথে কমন পদবী থাকতে হবে (বিভাগীয় পদবী যাই হোক ৬ষ্ঠ গ্রেডের সকলেই সিনিয়র সহকারী সচিব, ৫ম গ্রেডের ক্ষেত্রে উপসচিব এমনিভাবে সর্বোচ্চ পদ পর্যন্ত সকল ক্যাডারের মর্যাদার সমতায়ন করতে হবে)।

৩. ব্যাচ ভিত্তিক পৃথক কোড ব্যবহার করে সকল ক্যাডারের জন্য ইউনিক ক্যাডার আইডি চালু করা যাতে আই ডি দ্বারা কোন ক্যাডারকে বিশেষায়িত করা না যায়।

৪.  উপসচিব থেকে সরকারের সিনিয়র সার্ভিস পুল চালুকরণ। উপসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে সকল ক্যাডারের মধ্যে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান।

৫. বিসিএস (পরিবার পরিবার) ক্যাডারের পদ সৃজনের প্রস্তাবসমূহ (কপি সংযুক্ত ‘ক’) ।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে “বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ সার্ভিস” নামে একটি  স্বতন্ত্র সার্ভিস গঠন করার দা‌বি জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে। বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ ক্যাডার সার্ভিসের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট সার্ভিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনাসহ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের কার্যক্রম এ ক্যাডার সার্ভিসের সাথে যুক্ত করা।  অথবা  অন্য কোন সাধারণ ক্যাডারের সাথে বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ ক্যাডারকে মার্চ বা একীভূত করা উ‌চিত। যেহেতু, দেশের সকল সাধারন ক্যাডার পুনর্গঠণ করে সাধারন ক্যাডারের সাথে একীভূত করার সুপারিশ বা প্রস্তাব করা হলেও একমাত্র বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারকে কোন প্রকার পুনর্গঠনের সুপারিশ বা প্রস্তাব করা হয়নি; যেহেতু, বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারটি কোন কারিগরী কাজ করে না, সাধারন কর্মসূচি এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাসমূহ বাস্তবায়ন করে থাকে-সেহেতু, অন্য কোন সাধারণ কাডারের সাথে বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারকে মার্চ বা একীভূত করা যেতে পারে।

জানা যায়, ৩২২ টি সাধারণ পদ নিয়ে (এসআরও নং ৩৭৩ এল/৮৫/এমই/আইসি/এসআইআই-৬০/৮৪ তারিখঃ ২০/০৮/১৯৮৫) BCS (Family Planning) Composition and Cadre Rules of 1985 জারি করা হয়। এ প্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালে সর্বপ্রথম ১৮তম বিসিএস এর মাধ্যমে বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডারে সরাসরি নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তিতে ২৩ মার্চ, ২০২০ খ্রি. তারিখের প্রজ্ঞাপন মূলে ৬০৩টি সাধারণ পদ নিয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা) গঠন ও ক্যাডার আদেশ জারি করা হয় । এই আদেশটি ১৫ মে, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ তারিখে  কার্যকর হইয়াছে বলে গণ্য করা হয়। সর্বশেষ সুপারিকৃত ৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত সর্বমোট ৩৩১ জন সদস্য উক্ত ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন পরিচালক (৪র্থ গ্রেড), ৭৭ জন উপপরিচালক (৫ম গ্রেড), এবং ৮১ জন সহকারী পরিচালক (৬ষ্ট গ্রেড) রয়েছে। এছাড়াও ৪৪তম বিসিএস এর মাধ্যমে বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডারে ৭০ জন উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা (৯ম গ্রেড) নিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে।

সর্বশেষ গত ২ মার্চ, ২০২১ তারিখের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা) গঠন ও ক্যাডার আদেশ, ২০২০ এর সিডিউল সংশোধন করে ১১২০ টি চিকিৎসক এর কারিগরী (মেডিকেল) নামে পদ সৃজন করা হয়।

বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডার সার্ভিসের কার্যক্রমঃ 

বাংলাদেশ জনসংখ্যা নীতিতে প্রদত্ত কার্যক্রম অনুযায়ী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু স্বাস্থ্য, কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি কার্যক্রম নিয়ে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর জনসংখ্যা সমস্যাকে বাংলাদেশের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডার কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব সেই জনসংখ্যা সমস্যা থেকে দেশকে উন্নয়নের পথে ধাবিত করা সম্ভব হয়েছে। জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। বিসিএস [(পরিবার পরিকল্পনা) সাধারণ] ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ এই বিভাগের অধিদপ্তর পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের সকল স্তরে  সাধারণ প্রশাসন, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, অর্থ ও হিসাব ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিক্স ব্যবস্থাপনা, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম, ইনফরমেশন এডুকেশন এন্ড কমিউনিকেশন, পরিকল্পনা ও উন্নয়নসহ সর্বপরি জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে।

 বাংলাদেশের নারী জাগরণে এবং নারীগণকে স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার পিছনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া ইপিআই কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ জাতীয় কর্মসূচিতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে একত্রিতভাবে কাজ করছে। এত ব্যাপক সফল কর্মসূচি সম্পাদন করার পরও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ভূমিকা যথাযথভাবে সংস্কার প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়নি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সকল ক য ড র র অবস থ ন জনস খ য ক জ কর ব স এস পর য য় সকল স র সকল

এছাড়াও পড়ুন:

মে দিবসের শ্রমিক সমাবেশে মহানগর শ্রমিকদলের শোডাউন

১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ঢাকা নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম ও সদস্য সচিব ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজা হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে অংশগ্রহন করেছে মহানগর শ্রমিকদল।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর দুইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় এ কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এদিন নয়াপল্টনে বিএনপির শ্রমিকদলের সমাবেশকে সফল করতে দুপুর থেকেই দিকে অর্ধশতাধিক বাস যুগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, ওলামাদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাথায় লাল রঙের ফিতা বেঁধে এবং দলীয় ও জাতীয় পতাকা ব্যানার- ফেস্টুনে সু-সজ্জিত হয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে মতিঝিল বিআরটিসি ভবনের সামনে এসে জড়ো হয়। 

এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও শ্রমিকদলসহ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মুখে শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকল্পিত হয়ে ওঠে পুরো ঢাকার রাজপথ। 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মাহবুব উল্লাহ তপন, বরকত উল্লাহ, রাশিদা জামাল, ফারুক হোসেন, কামরুল ইসলাম চুন্নু সাউদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, আবুল হোসেন রিপন, আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, আলমগীর কবির চঞ্চল, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম সরদার, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ শিবলীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ