সামনেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজ তাই দল তিনটির খেলোয়াড়দের জন্য সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতির সুযোগ এনে দিয়েছে। অনেকে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার এই প্রস্তুতিতে সফল হলেও হতাশ করেছেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজম।

প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩ বলে ১০ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আউট হয়েছেন ১৯ বলে ২৩ রান করে। অন্য সময়ে যেমনই হোক, অন্তত এই ফর্মহীনতার সময়ে ‘কিং’ ডাক শুনতে ভালো লাগার কথা নয় বাবরের। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক এবার সবাইকে অনুরোধ করেছেন, কেউ যেন তাঁকে কিং বা রাজা বলে না ডাকেন।

বাবরকে ভালোবেসে ‘কিং বাবর’ ডাকেন অনেকেই। পাকিস্তানের সমর্থক ও দেশটির গণমাধ্যমে প্রায়ই বাবরের সঙ্গে ‘কিং’ শব্দটি উচ্চারিত হয়ে থাকে। কদিন আগে বাবরের ওপেনিং করা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানও তাঁকে ‘কিং’ সম্বোধন করেছিলেন।

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাবরের জন্য নতুন ভূমিকা ঠিক করেছে পিসিবি ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দীর্ঘদিন পর (ওয়ানডেতে ২০১৫ সালের পর) বাবর ওপেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন কি না, জানতে চাইলে রিজওয়ান বলেন, ‘এর উত্তরে সেই কথাটি বলা যায়, “রাজা করে দেখাবে।”’

ওপেনিংয়ে দেখা যাবে বাবর–ফখর জুটি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব বর র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলা তদন্ত, বিচারে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক গ্রুপ: চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া গুমের মামলার তদন্তের পাশাপাশি বিচারে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করবে। আজ সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি)-এর ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এই দুজন ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি আজ দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরে এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গুমের কেসগুলোকে কীভাবে আমরা ডিল করছি এবং এই কেসের যে তদন্ত, বিচার কোন পর্যায়ে আছে; কী কী চ্যালেঞ্জ আমরা ফেস করছি, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য কী কী ধরনের সাপোর্ট দরকার, তাঁরা কী ধরনের সাপোর্ট আমাদের দিতে পারেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিচার অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করতে এই কমিটি প্রস্তুত আছে এবং তাঁরা এটা করবেন।’

গুমের শিকার, এমন ভুক্তভোগীরা সাক্ষী দিতে এসে যাতে বিপদে না পড়েন, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাঁরা বলেছেন, যত ধরনের সাহায্য লাগবে, তাঁরা করবেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ করে সাক্ষী সুরক্ষার ব্যাপারটা। এ ব্যাপারে আইন আছে, কিন্তু তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী আছেন, তাঁদের হয়তো এমন নিরাপত্তার সংকট আছে, তাঁদের হয়তো এক জায়গা থেকে সরিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হতে পারে। সেটা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে করা কঠিন। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের যদি সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের জন্য কাজ করা সহজ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ