বসন্ত ও একুশকে সাথে নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গেণ্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা পরিচালিত কিশলয় চারুকলা কেন্দ্রের ২১তম বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী-২০২৫।

প্রদর্শনীতে মেলার চারুকলা বিভাগের ১২টি শ্রেণির ১৭৪ জন শিক্ষার্থীর ১৭৪টি ছবি প্রদর্শিত হবে।

১৪ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হওয়া এই আয়োজনের প্রথম দিন সকাল ৮টায় থাকছে মেলার  কিশলয় ললিতকলা কেন্দ্রের শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন গেণ্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম শফিউর রহমান দুলু। বসন্ত উৎসব গ্রন্থনা ও পরিচালনা করবেন কিশলয় ললিতকলা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ গোলাম জিলানী। 

একই দিন সকাল ১০টায় ২১তম বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী ২০২৪-এর উদ্বোধন করবেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী তাজউদ্দিন আহমেদ ও টি এ কামাল কবির।

১৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে ‘শিশুর কন্ঠে গল্প শুনি’ শিরোনামে গল্প বলা প্রতিযোগিতা। গেন্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠিত কামাল স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় গেণ্ডারিয়ার ১৭টি স্কুলের প্রায় ৪০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবে। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করবেন পাঠাগারের সভাপতি আবু তাহের বকুল।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা থেকে মেলা প্রাঙ্গণে শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। কার্যক্রমটি পরিচালনা করবেন  বিজ্ঞাপন নির্মাতা সৈয়দ নাবিল আশরাফ।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় আয়োজন করা হয়েছে ‘শিশুর কন্ঠে গল্প শুনি’ গল্প বলা প্রতিযোগিতার পুরস্কার  বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও গ্রন্থাগার বিষয়ক গবেষক আলীম-উজ-জামান এবং বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার সংহতির সদস্য সচিব মো.

জহিরুদ্দিন। পুরস্কার বিতরণ শেষে গেণ্ডারিয়ার শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন থাকবে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টায় প্রভাত ফেরি এবং গেণ্ডরিয়ার ধূপখোলা মাঠের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। কার্যক্রমটির নেতৃত্ব দেবেন  গেণ্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা পরিচালিত কচি-কাঁচা বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষিকা ফাহমিদা কুমকুম এবং কিশলয় অবৈতনিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বেগম রাবেয়া মুর্শিদা। 

ধূপখোলা শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পনে গেণ্ডারিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সদস্যরা।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ২১তম বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী ২০২৪-এর পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে থাকবে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, সভাপতিত্ব করবেন কিশলয় চারুকলা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ সাধনা ইসলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গ্রন্থনা ও পরিচালনা করবেন মেলার প্রচার সম্পাদক  মো. মাহবুবুর রহমান খান।

প্রদর্শনী উপলক্ষে মেলার সাধারণ সম্পাদক নুসরাত ইয়াসমিন রুম্পা সম্পাদিত একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয়েছে।

গেণ্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা প্রাঙ্গনে প্রদর্শনীটি ১৪-২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

ঢাকা/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন প রদর শ চ র কল পর চ ল করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন