গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ইসরায়েলের তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তারা। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানছে না– এমন অভিযোগে দেশটির জিম্মিদের মুক্তি দিতে নারাজ ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। 

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কায়রো পৌঁছানোর এক দিন পর এই বিবৃতি এলো।

বৃহস্পতিবার কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর হামাস জানিয়েছে, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তি বাস্তবায়নের পথে যে কোনো বাধা দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মিসর ও কাতারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা দু’পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে এনেছেন এবং উভয় পক্ষ চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইসরায়েল মঙ্গলবার জানিয়েছিল, শনিবারের মধ্যে হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি শেষ হবে। হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল চুক্তির শর্তভঙ্গ করেছে এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেয়নি। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রয়টার্স জানায়, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বুধবার গাজার বিষয়ে তাদের দেশের ‘ঐক্যবদ্ধ’ অবস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন। 

গাজায় দখলদার দেশটির হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৪ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখনও অনেক ভুক্তভোগী ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। এ নিয়ে ফিলিস্তিনি উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হাতে নিহত হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো সরাসরি হামলায় প্রাণ গেছে ৯২ জনের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়। 

হাইওয়ে পুলিশ  জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে। 

ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। 

নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না। 

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ