চট্টগ্রামে দুই শতাধিক আবাসন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে রিহ্যাবের সদস্য হিসেবে আছে শখানেক প্রতিষ্ঠান। ফ্ল্যাট নিয়ে প্রতারণার শতাধিক অভিযোগ জমা হয়েছে রিহ্যাবের কাছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ টি অভিযোগের সমাধানও করেছে তারা। প্রক্রিয়াধীন আছে আরও প্রায় ৩০ টি অভিযোগ। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে তাদের বেশিরভাগই রিহ্যাবের সদস্য নয়। যারা সদস্য নন; তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়ছে রিহ্যাবের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু রিহ্যাবের সদস্যভুক্ত কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তা দ্রুত সমাধান করতে পারছে তারা। রিহ্যাব মনে করছে প্লট ও ফ্ল্যাট কেনার আগে গ্রাহকরা যেন দেখেন প্রতিষ্ঠানটি রিহ্যাবের সদস্য কিনা। তাহলে প্রতারিত হলেও ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ তাকবে তাদের হাতে। কারণ রিহ্যাবের সদস্য হলে একটি আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকতে হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে চাইলে ব্যবস্থাও নিতে পারে
রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুইভাবে এমন প্রতারণা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এজন্য আন্তরিক হতে হবে সিডিএ এবয় সিটি কর্পোরেশনকে। সরকারি সার্কুলার বলছে, রিহ্যাবের সদস্য হওয়া ছাড়া কেউ আবাসন ব্যবসা করতে পারবে না। কিন্তু নগরীতে মানা হচ্ছে না এ নিয়ম। যেসব প্রতিষ্ঠান রিহ্যাবের সদস্য নয়, তাদেরকেও ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এটা বন্ধ করতে হবে। আবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের নকশা অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। তাহলে এমন প্রতারণা কমে আসবে। আস্তে আস্তে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।'
সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে নগরীর ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন মোশাররফ হেসেন। তামান্না বিল্ডার্স নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন তিনি কিস্তিতে। আরও নয় বছর আগে পরিশোধ করেছেন তিনি কিস্তির সব টাকা। কিন্তু তামান্না বিল্ডার্স চুক্তি অনুযায়ী ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে পারেনি তাকে এখনো। শুধু তামান্না বিল্ডার্স নয়; নগরীতে এমন চুক্তি ভঙ্গকারী ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান আছে অনেক। এ জন্য রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় বিভিন্ন অভিযোগ গ্রহণ করতে গঠন করেছে স্বতন্ত্র একটি সেল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চট্টগ্রামের এই সেলে শতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে ৭০ টি অভিযোগের সমাধান করা হয়েছে। বাকি ৩০ টি প্রক্রিয়াধীন। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রিহ্যাব একটি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল করেছে।
রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির পরিচালন ও কো চেয়ারম্যান-১ মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র হ য ব র সদস য ব যবস থ শত ধ ক
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।