Samakal:
2025-08-01@04:50:44 GMT

ফ্ল্যাট প্রতারণার শত অভিযোগ

Published: 13th, February 2025 GMT

ফ্ল্যাট প্রতারণার শত অভিযোগ

চট্টগ্রামে দুই শতাধিক আবাসন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে রিহ্যাবের সদস্য হিসেবে আছে শখানেক প্রতিষ্ঠান। ফ্ল্যাট নিয়ে প্রতারণার শতাধিক অভিযোগ জমা হয়েছে রিহ্যাবের কাছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ টি অভিযোগের সমাধানও করেছে তারা। প্রক্রিয়াধীন আছে আরও প্রায় ৩০ টি অভিযোগ। তবে যেসব  প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে তাদের বেশিরভাগই রিহ্যাবের সদস্য নয়। যারা সদস্য নন; তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়ছে রিহ্যাবের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু রিহ্যাবের সদস্যভুক্ত কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তা দ্রুত সমাধান করতে পারছে তারা।  রিহ্যাব মনে করছে প্লট ও ফ্ল্যাট কেনার আগে গ্রাহকরা যেন দেখেন প্রতিষ্ঠানটি রিহ্যাবের সদস্য কিনা। তাহলে প্রতারিত হলেও ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ তাকবে তাদের হাতে। কারণ রিহ্যাবের সদস্য হলে একটি আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকতে হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে চাইলে ব্যবস্থাও নিতে পারে 
রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুইভাবে এমন প্রতারণা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এজন্য আন্তরিক হতে হবে সিডিএ এবয় সিটি কর্পোরেশনকে।  সরকারি সার্কুলার বলছে, রিহ্যাবের সদস্য হওয়া ছাড়া কেউ আবাসন ব্যবসা করতে পারবে না। কিন্তু নগরীতে মানা হচ্ছে না এ নিয়ম। যেসব প্রতিষ্ঠান রিহ্যাবের সদস্য নয়, তাদেরকেও  ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এটা বন্ধ করতে হবে। আবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের নকশা অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। তাহলে এমন প্রতারণা কমে আসবে। আস্তে আস্তে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।'

সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে নগরীর ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন মোশাররফ হেসেন। তামান্না বিল্ডার্স নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন তিনি কিস্তিতে। আরও নয় বছর আগে পরিশোধ করেছেন তিনি কিস্তির সব টাকা। কিন্তু তামান্না বিল্ডার্স চুক্তি অনুযায়ী ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে পারেনি তাকে এখনো। শুধু তামান্না বিল্ডার্স নয়; নগরীতে এমন চুক্তি ভঙ্গকারী ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান আছে অনেক। এ জন্য রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় বিভিন্ন অভিযোগ গ্রহণ করতে গঠন করেছে স্বতন্ত্র একটি সেল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চট্টগ্রামের এই সেলে শতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে ৭০ টি অভিযোগের সমাধান করা হয়েছে। বাকি ৩০ টি প্রক্রিয়াধীন। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রিহ্যাব একটি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল করেছে।
রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির পরিচালন ও কো চেয়ারম্যান-১ মো.

মোরশেদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামে দুই শতাধিক আবাসন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি রিহ্যাবের সদস্য নন। অথচ তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসছে সবচেয়ে বেশি। এসব অভিযোগের মদ্যে আছে-ঠিক সময়ে ফ্ল্যাট বুঝে না পাওয়া, জমি বুঝে নেওয়ার পরও ঠিক সময়ে কাজ শুরু না করা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, আবাসন প্রতিষ্ঠানকে চাপে ফেলে অনায্যভাবে টাকা আদায় করা, মাঝপথে কাজ বন্ধ করে রাখা।  এমন অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য রিহ্যাবের আছে 'কাস্টমার কেয়ার ও মেডিয়েশন সেল'। যদিও বিরোধ নিষ্পত্তি ও সদস্যপদ বাতিলের ক্ষমতা ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর কোনো ক্ষমতা নেই আবাসন ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনটির। অবশ্য রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ আইনে প্রকল্প বাস্তবায়নকালে ক্রেতা ও ডেভেলপারের মধ্যকার বিরোধ আপসের মাধ্যমে সমাধানের বিধান করা হয়েছে। সেই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য রিহ্যাব ওই সেল গঠন করে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র হ য ব র সদস য ব যবস থ শত ধ ক

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?

মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।

কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। 

 

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।

 

জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)। 

 

১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।

 

ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া। 

 

অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।

 

মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ। 

 

ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ