ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ব‌্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান রনিকে সভাপতি ও জাফর আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। 

বৃহস্প‌তিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আজিমপুরে এক‌টি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা, দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ২৯ সদস্য বি‌শিষ্ট এ ক‌মি‌টি ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইসমাঈল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও সিবিএম গ্রুপের পরিচালক নাছির উদ্দিন।

সাধারণ সভায় সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক সকল সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সমিতির প্রধান উপদেষ্টা নাছির উদ্দিন ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের নির্বাহী পরিষদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আবুল বশর, শফিকুর রহমান শফিক, ওসমান গণী, নির্বাহী পরিষদের বিদায়ী কমিটি ও নতুন নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা।

ঢাকা/ নঈমুদ্দীন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

শত বছর পেরিয়ে ‘শান্তির মিষ্টি’ 

বহু বছর আগে ইছামতী নদীর তীরে গড়ে ওঠে বান্দুরা বাজার। ব্রিটিশ আমলেই এটি ব্যবসাসমৃদ্ধ ‘গঞ্জ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। সেখানেই নন্দ কুমার ঘোষ প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিক্রমপুর অনন্তদেব মিষ্টান্ন ভান্ডার’। পরে নাম বদলে হয় ‘শান্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার’। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ঘোষ পরিবার ধরে রেখেছে এ ব্যবসা। এলাকার মানুষের কাছে একনামে পরিচিত ‘শান্তির মিষ্টি’ হিসেবে।

সম্প্রতি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী দোকানটির কর্মীরা বেশ কর্মব্যস্ত। লাকড়ির চুলায় তৈরি হচ্ছে রসগোল্লা। পাশে দুধ জ্বাল দিচ্ছেন কারিগরেরা। দোকানের ক্যাশে বসে আছেন প্রবীণ সহদেব ঘোষ, হাসিমুখে ক্রেতাদের সামলাচ্ছেন। তাঁর দোকান-বাসা একই ছাদের নিচে। 

প্রায় ৭০ বছর আগে সহদেব ঘোষ তাঁর বাবা মোহন লাল ঘোষের হাত ধরে এ ব্যবসায় নামেন। এখন বয়স ৯০ বছর। এ বয়সেও দোকানের দেখভাল করেন। সহদেব ঘোষ বললেন, এই ব্যবসাই তাঁর জীবনের অবলম্বন। তাঁর সন্তানেরা ইউরোপ-আমেরিকায় থাকলেও ছোট ছেলে সুধীর ঘোষ তাঁর সঙ্গেই থেকে দোকান চালান। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান তাঁরা।

কারিগর সিদ্দিকুর রহমান ১২ বছর ধরে কাজ করছেন এখানে। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু খাঁটি দুধের ছানা ব্যবহার করি। কোনো পানি বা ভেজালের সুযোগ নেই।’ দোকানের বিক্রয়কর্মী শ্যামল বলেন, ‘প্রতিদিন এত ক্রেতা আসে যে সামলানোই মুশকিল। তবে এই ভিড়েই আনন্দ লাগে!’

সহদেব ঘোষের ছোট ভাই মধু ঘোষ জানান, তাঁদের পরিবার প্রায় ১৩০ বছর ধরে এ ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত পুরো বান্দুরা বাজারে একটাই মিষ্টির দোকান ছিল—এই শান্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার। এখন প্রতিদিন ২০০-৩০০ কেজি মিষ্টি বিক্রি হয়, মৌসুমভেদে তা বাড়ে বা কমে। অনেকে ফোনে অর্ডারও দেন। তাঁদের দোকানে মিষ্টির দাম শুরু ২৮০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা দামের মিষ্টি পাওয়া যায়। দেড় টাকা কেজি দরে মিষ্টি বিক্রি করে দোকানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে জানান মধু ঘোষ।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ব্রিটিশ আমলে বান্দুরা ছিল নদীবন্দর ও ধানের আড়তের জন্য খ্যাত। খ্রিষ্টানপল্লির কারণে ব্যবসাও জমজমাট ছিল। সেই সময় থেকে শান্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করে।

রসগোল্লা, মালাইচপ, চমচম, দই, রসমালাইসহ নানা ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় এই দোকানে

সম্পর্কিত নিবন্ধ