শবে বরাতে কিছু পেতে হলে চেষ্টা করতে হবে
Published: 14th, February 2025 GMT
হাদীসের ভাষায় ‘শবে বরাত’কে বলা হয় ‘লাইলাতুন নিসফে মিন শা‘বান’। বাংলা অর্থ হলো: শা‘বান মাসের মধ্য রজনী। এ রজনীর মর্যাদা ও তাৎপর্য সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সা. এর পবিত্র জবানীতে যা পাওয়া যায় তাতে বুঝা যায়, এ রাত্রি অত্যন্ত মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ। রজনীটির মর্যাদা ও তাৎপর্যের দিকে লক্ষ্য করে অনারবরা এ রাতের নাম দিয়েছেন ‘শবে বরাত’ বা ‘মহিমান্বিত রজনী’। গুরুত্বের বিবেচনায় প্রকৃত অর্থেই এ রাতটি অত্যন্ত মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ।
এ রজনী সম্পর্কে হাদীসে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। বর্ণনাকারীদের তারতম্যের কারণে কিছু বর্ণনার মান নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক হলেও গ্রহণযোগ্য বর্ণনাও কিন্ত কম নয়। এর মধ্যে সর্বজন গ্রহণযোগ্য হাদীসটি আলোচিত হয়েছে সুনানে ইবনে মাজাহ এ। হযরত মু‘আয ইববে জাবাল রা.
অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় আলোচিত বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. এর এ হদীসটির মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো: নবীজি সা. বলেছেন: ‘আল্লাহ তা‘আলা মধ্য শা‘বানের রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিশেষ মনোযোগী হন’। এ কথাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আমরা জানি আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সমস্ত মাখলুকাতের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত। তিনি সর্ববিষয়ে কুদরাতীভাবে বিশেষভাবে মনোযোগী। যেমনটা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে: অর্থ: আপনি কি লক্ষ্য করেন না যে, আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে আল্লাহ তা জানেন? তিন ব্যক্তির মধ্যে এমন কোনো গোপন পরামর্শ হয় না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি থাকেন না এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যেও হয় না যাতে ষষ্ঠ জন হিসেবে তিনি থাকেন না। তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশী হোক তিনি তো তাদের সঙ্গেই আছেন, তারা যেখানেই থাকুক না কেন। তারপর তারা যা করে, তিনি তাদের কিয়ামতের দিন তা জানিয়ে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ সব কিছু সম্পর্কে সম্যক অবগত। (সূরা মুজাদালাহ: ০৭) । এরপরও উল্লেখিত হাদীসে রাসূল সা. যে বলেছেন: ‘আল্লাহ তা‘আলা মধ্য শা‘বানের রাতে তাঁর বান্দা-বান্দীর প্রতি বিশেষ মনোযোগী হন’।
আরো পড়ুন:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত
আজ পবিত্র শবে বরাত
এর অর্থ দাড়ায়, তিনি এ রাতে তাঁর বান্দার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হন বিশেষ কোনো কারণে। আর সে কারণটি হলো: যে আল্লাহর কাছে বিশেষ কিছু চাইবে তিনি তাকে তা প্রদান করবেন। এ প্রত্যাশিত বিষয়াবলীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো: বান্দার পাপ-পঙ্কিলতা থেকে তাঁর নিকট ক্ষমা পাওয়া।
হাদীসটির পরবর্তী অংশে নবীজি সা. সেটাই বলেছেন: মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তি ছাড়া যারা আল্লাহ তা‘আলার নিকট ক্ষমা চাইবে তাদের সবাইকে তিনি ক্ষমা করে দেবেন। মানব জাতির জন্য এটি এক মহা সুযোগ। এ সুযোগ যারা কাজে লাগাতে পারবে না তারা হতভাগা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। এ কারণে রসূল সা. এ মহিমান্বিত রজনীতে বেশি বেশি ইবাদত করার কথা বলেছেন। উম্মতকে শিখানোর জন্য তিনি নিজে আমল করে দেখিয়েছেন।
উম্মাহাতুল মুমীনিন “হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রা. বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সা. এ রাতে নামাজ পড়ছিলেন এবং সিজদায় দীর্ঘ অবস্থানের কারণে আমি মনে করলাম যে, তিনি ইন্তিকাল করেছেন। তাঁর অবস্থা জানার জন্য আমি তাঁকে নাড়া দিলে তিনি নড়ে ওঠেন। এরপর সিজদাহ থেকে মাথা উত্তোলন করেন। অতঃপর নামাজ শেষ করে আমাকে বললেন, হে আয়েশা, তমি কি ধারণা করেছ যে, আল্লাহর রাসূল তোমার সাথে খিয়ানত করেছেন? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ ধরনের কোনো কিছু নয়; বরং সিজদায় আপনাকে দীর্ঘকাল অবস্থানের কারণে আমি মনে করেছি যে, আপনি ইন্তিকাল করেছেন। এ কথা শুনে তিনি বললেন, তুমি কি জানো এটি কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ভালো জানেন। এরপর তিনি বললেন, আজ শাবান মাসের মধ্য রজনী। এ রাতে মহান রাব্বুল আলামীন ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন। রহমত প্রার্থনাকারীদের রহমত প্রদান করেন এবং বিদ্বেষীদের অবকাশ দেন।” (শুয়াবুল ঈমান লিল ইমাম বায়হাকী রহ., আব্দুর রহমান মুবারক পুরী, তুহফাতুল আহওয়াযী, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, খ: ৩, পৃ: ৩৬৬)
বুঝার বিষয় হলো: এ মহাসুযোগ পেয়ে লাভবান হবে কারা? যারা লাভবান হতে চাইবে। যারা চেষ্টা করবে। বিশেষভাবে ইবাদত করবে, ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
এ রাতে করণীয় আমল সমূহ:
১. বেশি বেশি তওবা করা। এ রাতে অসংখ্য মানুষকে ক্ষমা করার ঘোষণা হাদীসের মাধ্যমে বিশ্বনবী জানিয়ে দিয়েছেন। তিরমিজি শরীফের ৭৩৯ নং হাদিসে আয়েশা রা. বর্ণনা করেন, নবীজি সা. বলেছেন: ‘শা‘বান মাসের পনেরতম রজনীতে আল্লাহ তা‘আলা প্রথম আসমানে কুদরতীভবে আগমন করেন এবং আরবের বিখ্যাত কালব গোত্রের বকরীগুলোর পশম পরিমান মানুষকে ক্ষমা করে দেন’। কাজেই এ রাতে বেশি বেশি পরিমান নিজ পাপের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে।
এছাড়াও উপরের হাদীসগুলো এবং অন্যান্য অসংখ্য হাদীস থেকে এ রজনীতে যেসব আমলের কথা পাওয়া যায় তাহলো: ২. দু‘আ করা ৩. দীর্ঘ নফল নামাজ আদায় করা ৪. পরের দিন রোজা রাখা ৫. কবর জেয়ারত করা। তাবে কবর জেয়ারতের নামে কবর পূজা হয়ে যেন না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ৬. অন্তরের সমস্ত হিংসা-বিদ্বেষ দূর করা।
এ রাতে নিষিদ্ধ কাজসমূহ: ইসলামে নিষিদ্ধ সকল কাজই এ রাতে নিষিদ্ধ। তবে এ রাতে আমাদের দেশে ইবাদতের নামে যে সব রীতি-রেওয়াজ আছে ইসলামে সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। যেমন: ১. কবরে সেজদা করা ২. হালুয়া রুটির আয়োজন করা ৩. সন্ধ্যার পরে গোসল করা ৪. আলোকসজ্জা করা ৫. সিরনি তবারকের আয়োজন করা ৬. গোরস্তানে মেলার আয়োজন করা ৭. মাসজিদে হৈ চৈ করা ৮. মাইকে খতমে কুরআন করা ৯. আতশ বাজি ফোটানো ইত্যাদি।
এখানে উল্লেখিত কাজগুলোর মধ্যে কিছু কাজ এমন আছে যেগুলো অন্য সময়ে করলে সমস্যা নেই বরং উত্তম। যেমন: খাবারের আয়োজন করা। এটা শবে বরাতে রেওয়াজ হওয়ার কারণে এটা এ সময় নিষেধ করা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের শবে বরাতে বেশি বেশি নেক আমল করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
শাহেদ//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম ব শ ষ মন য গ আল ল হ ত বল ছ ন ন কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
এই অদম্য মেয়েদের আমরা হারিয়ে যেতে দিতে পারি না
অবহেলিত মেয়েরা কঠিন একটি কাজ সম্পন্ন করেছেন। অনেকের কাছে এখনো অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। অসাধ্য এক অর্জনকে বাস্তবের জমিনে নামিয়ে এনেছেন আমাদের বাঘিনীরা। সাফ পর্যায় জয় করে নারীদের ফুটবলকে এশীয় পর্যায়ে নিয়ে গেলেন। বিশ্বকাপও খেলে ফিরতে পারেন এই অদম্য বাঘিনীরা।
এখন বলাই যায়, নারী ফুটবলের বিশ্ব পর্যায়ে কড়া নাড়ছেন আমাদের মেয়েরা। ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাঁরা। শুধু ফুটবলই নয়, আমাদের নারী জাগরণের নতুন দিশা হতে পারে মেয়েদের এই সাফল্য। এই মেয়েরা সারা দেশের মেয়েদের জন্য উদাহরণ। নারী অধিকার, নারী ক্ষমতায়নের নতুন দিনের আলোকবর্তিকা আমাদের নারী ফুটবল দল।
ফুটবলে মেয়েদের এই সাফল্যের পেছনে আছে দীর্ঘদিনের লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস। সফলতা খুব সহজে আসেনি। নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে কঠিন এক সংগ্রামের ফসল মেয়েদের আজকের এই অর্জন। ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত পল্লি থেকে কোহাটি কিষ্ক, কলসিন্দুরের মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার, তহুরা খাতুন, সানজিদা আক্তার বা রাঙামাটির দুর্গম গ্রাম মগছড়ি থেকে ঋতুপর্ণা চাকমাদের আজকের এই পর্যায়ে আসার ইতিহাসটা আমরা কমবেশি সবাই জানি।
এই পথচলায় সামাজিক বিধিনিষেধ ছিল। ছিল আর্থিক টানাপোড়েন, অনিশ্চয়তা। জীবনের এমন কোনো সংকট নেই, যা তাঁদের সামনে আসেনি। কিন্তু হিমালয়সম সেই বাধাকে সাহসিকতার সঙ্গে পেছনে ঠেলে আজকে তাঁরা এশীয় পর্যায়ে নিজেদের উন্নীত করেছেন।
তাঁদের অর্জনের তুলনায় রাষ্ট্র দিতে পেরেছে খুবই কম। বলতে গেলে, তাঁরা পেটেভাতে দেশের জন্য খেলে দিচ্ছেন। যেন খেলার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চলছে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আদলে। যৎসামান্য যে বেতন দেওয়া হয়, সেটাও অনিয়মিত। যেকোনো সাফল্যের পর যখন মেয়েদের কাছে শুনতে চাওয়া হয়, ‘আপনারা কী চান?’ উত্তরে মেয়েরা জানান, ‘নিয়মিত বেতনটা চাই। আর বেতনটা বাড়ালে আরও ভালো হয়।’ ২০২৫ সালে এসে এটা মেনে নেওয়া কঠিন।
দেশে মেয়েদের নিয়মিত লিগ হয় না। অন্য কোনো টুর্নামেন্টও হয় না নিয়মিত। নিয়মিত খেলার জন্য আমাদের মেয়েদের ভুটান লিগে খেলতে যেতে হয়। কেবল আবাসিক ক্যাম্পের প্রশিক্ষণ ও কিছু প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেই মেয়েদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতামূলক খেলায় নামতে হয়। সেই সব খেলায় তাঁরা নিয়মিত লিগ খেলা দলগুলোকে বলে-কয়ে হারাচ্ছে।
আমাদের খেলাধুলাকে রাজধানীকেন্দ্রিক না রেখে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। শুধু নারী ফুটবল নয়, সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে তৃণমূল থেকে। তবেই নতুন নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। ঢাকাকেন্দ্রিক খেলার কুফল কী হতে পারে, তার বড় উদাহরণ আমাদের ছেলেদের ফুটবল। সারা দেশে নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক লিগ না হওয়ার কারণে নতুন নতুন ফুটবলার বেরিয়ে আসছেন না।কী পরিমাণ প্রতিভার অধিকারী হলে ন্যূনতম সুবিধা না পেয়েও এ পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করা যায়, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। ভারত ও নেপালে নিয়মিত মেয়েদের খেলা হয়, লিগ হয়। আর আমরা তাদের এখন নিয়মিতই হারাই। এখন সাফের বাইরের দলগুলোকেও আমরা হারাতে শুরু করেছি।
এই মেয়েদের প্রচেষ্টা ও সাহস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রচণ্ড রকম ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে তাঁরা খেলতে নামেন। ভয়হীন ফুটবল খেলেন। সব থেকে বড় কথা, খেলার যেকোনো ধরনের ট্যাকটিকসের সঙ্গেই তাঁরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন। আগে আমাদের মেয়েরা কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতেন। রক্ষণ সামলে প্রতি-আক্রমণে যেতেন। এবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে মেয়েরা পুরো খেলার ধরন বদলে ফেলেছেন।
আমাদের মেয়েরা এবার হাই প্রেসিং ফুটবল খেলেছেন। এই দল আগের থেকে দ্রুতগতিসম্পন্ন ফুটবল খেলে। বল পায়ে রাখতে পারে। তাদের বল ডিস্ট্রিবিউশন আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। পাসিংও ভালো। পজিশন সেন্স চমৎকার। বিশেষ করে বল হারালে দ্রুত নিজেরা অবস্থান নিতে পারে।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে হাই লাইন ডিফেন্স করে গেছে দুর্দান্তভাবে। আর বাহরাইনের সঙ্গে শামসুন্নাহার জুনিয়র যেভাবে গতি সঞ্চার করে ডিফেন্স থেকে বেরিয়ে ওয়ান টু ওয়ানে গোলরক্ষককে পরাজিত করলেন ঠান্ডা মাথায়, তা আমাদের পুরুষ দলের স্ট্রাইকার বা উইঙ্গাররাও করতে পারেন না। নিয়মিত খেলার মধ্যে না থাকা একটি দলের কাছে এর বেশি আশা করা উচিত নয়। কিন্তু তাঁরা আমাদের সেই আশাকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাঁরা পরিস্থিতি বুঝে মাঠে খেলাটা তৈরি করতে পারেন।
মেয়েদের এই লড়াইকে ধরে রাখতে হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সিরাত জাহান স্বপ্না বা আঁখি খাতুনের মতো খেলোয়াড়দের আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে ফুটবল থেকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। মেয়েদের প্রতিযোগিতামূলক লিগ নিয়মিত আয়োজন করতে হবে। এর পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে লিগের আয়োজন করতে হবে।
‘সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এই মেয়েরা আমাদের ফুটবল নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।’