ফেব্রুয়ারি মাসের রাতের আকাশ শীতকালীন নক্ষত্রপুঞ্জ পর্যবেক্ষণের সেরা সময়। শীতের কুয়াশা না থাকায় সপ্তাহজুড়েই আকাশে মহাজাগতিক অনেক চমক দেখা যাবে। এ সপ্তাহের আকাশে যা যা দেখা যাবে, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

১৫ ফেব্রুয়ারি

আজ শনিবার বাংলাদেশের আকাশে গ্রহের মেলা দেখা যাবে। সন্ধ্যার আকাশে বুধ গ্রহ দেখা যাবে ৬টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত। বুধগ্রহ স্বল্প সময়ের জন্য দৃশ্যমান হলেও শুক্রগ্রহ দেখা যাবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। মঙ্গল গ্রহ সন্ধ্যা থেকে ভোররাত ৪টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত এবং বৃহস্পতি গ্রহ দেখা যাবে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। এদিন আকাশে ক্যাসিওপিয়া নামের তারকাপুঞ্জ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। তবে শনি, নেপচুন ও ইউরেনাস গ্রহ দেখতে বেশ কষ্ট হবে।

১৬ ফেব্রুয়ারি

সন্ধ্যার পর থেকে আকাশে শুক্র গ্রহ স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। তবে একটু খেয়াল করলেই মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ দেখার সুযোগ মিলতে পারে। তিনটি গ্রহই সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দেখা যাবে। তবে এদিন শনি, ইউরেনাস, বুধ ও নেপচুন স্পষ্টভাবে দেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সন্ধ্যার আকাশে দুরবিন বা বাইনোকুলারের মাধ্যমে ক্যামেলোপারডালিস নামের তারকাপুঞ্জে দেখা যাবে।

১৭ ফেব্রুয়ারি

এদিন সন্ধ্যায় শুক্র গ্রহ যেকোনো টেলিস্কোপের আইপিস থেকে দেখলে ২৫ ভাগ বেশি আলোকিত অবস্থায় দেখা যাবে। দৃশ্যত গ্রহটির আপাত ব্যাস বর্তমানে ৪০ আর্কসেকেন্ড। আকাশে খুব ছোট কোণ পরিমাপ করতে জ্যোতির্বিদ্যায় একক হিসেবে আর্ক সেকেন্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দিনের বেলায় ভার্গো তারকামণ্ডলের স্পিকা নামের আলোকিত তারার পাশেই অবস্থান করবে আমাদের চাঁদ, যদিও তা দিনের আকাশে দেখার সুযোগ পাব না আমরা।

১৮ ফেব্রুয়ারি

আকাশে শুক্র গ্রহ স্পষ্টভাবে অবস্থান করবে সন্ধ্যার সময়। অন্যদিকে মধ্যরাত পর্যন্ত স্পষ্টভাবে দেখা যাবে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ। এদিন রাত একটার সময় চাঁদ পৃথিবী থেকে সর্বোচ্চ দূরে অর্থাৎ ৪ লাখ ৪ হাজার ৮৮২ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে।

২০ ফেব্রুয়ারি

রাত ১১টার সময় ক্যানসার তারকামণ্ডলের এম৪৪ নামের তারকাসংঘ দেখা যাবে। যেকোনো সাধারণ বায়নোকুলার দিয়েই এই তারকাসংঘ দেখা যাবে। এদিন চাঁদের শেষার্ধ দেখারও সুযোগ মিলবে। এর পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে বৃহস্পতি গ্রহ সবচেয়ে আলোকিত অবস্থায় দেখা যাবে।

২১ ফেব্রুয়ারি

দিনের বেলায় চাঁদের অবস্থান থাকবে বৃহৎ লাল তারকা অ্যান্টারেসের কাছে। সকাল ১০টার সময় সূর্য থেকে ৮৩ ডিগ্রি দূরে চাঁদের অবস্থান দেখা যাবে।  এদিন রাত ৯টা ০৭ মিনিটে আকাশের ঠিক মাঝখানে মঙ্গল গ্রহ দেখা যাবে।

সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ ও স্কাই ম্যাপস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ ন র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ২-৫ টাকা কমেছে

বাজারে সরু তথা মিনিকেট চালের দাম কিছুটা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে মোটা ও সরু নাজিরশাইল চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া বাজারে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও মুরগি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা দোকানে ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগর, রশিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গত সপ্তাহে মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল, যা আজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। একইভাবে ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম ৮৮ টাকা থেকে কমে ৮৫ টাকা ও রশিদ ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম ৭৮ টাকা থেকে কমে ৭৬ টাকা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি কমেছে মোজাম্মেল মিনিকেট চালের দাম। এই চালের দামই এত দিন সবচেয়ে বেশি ছিল। গত সপ্তাহেও খুচরায় মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ বাজারে সেটি বিক্রি হয় ৯২ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে ৮ টাকা কমেছে এই মিনিকেট চালের দাম।

তবে নাজিরশাইল, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও স্বর্ণা চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৮০ থেকে ৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০ টাকা এবং স্বর্ণা চাল ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের খুচরা চাল বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এখন বোরো ধানের মৌসুম চলছে। অর্থাৎ বোরো ধান থেকে যে চাল হয়, সেটি বাজারে এসেছে। সাধারণত মিনিকেট হিসেবে পরিচিত ছাঁটাই করা চালগুলো এ ধান থেকেই আসে। ফলে বাজারে নতুন মিনিকেট চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও কমেছে।

চড়া পেঁয়াজ, মুরগির দাম

বাজারে এখন মূলত দেশি পেঁয়াজই বেশি বিক্রি হয়। এই পেঁয়াজের দাম তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তি রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরেকটু বেশি। গত এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। আজ বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা ও সোনালির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দামও আগের মতোই বেশি রয়েছে। আজ এই মানের এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে সবজি কিনছেন দুই ক্রেতা

সম্পর্কিত নিবন্ধ