ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যায় আরও দু’জন গ্রেপ্তার
Published: 16th, February 2025 GMT
ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হত্যার ঘটনায় আরো দু জন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কাইচাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র মো. আরছ আলী ওরফে আরব আলী (৪৬) ও তার ছোট ভাই আজমীর(২৬)।
গ্রেফতারকৃতদের কে রোববার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত আরছ আলী ওরফে আরব আলী কে তিন দিনের এবং আজমির কে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
এর আগে শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ফতুল্লা থানার লালখা শিতলক্ষা মাঠ থেকে আজমীর কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিনার দিবাগত রাত একটার দিকে গাজিপুর থেকে আরছ আলী ওরফে আরব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত দুজনের মধ্যে আরছ আলী ওরফে আরব আলী আওয়ামীলীগ ক্যাডার আক্তার -সুমনের বাড়ীর কেয়ারটেকার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দুজন আপন ভাই।হত্যাকান্ডের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি নিরাপদে সরিয়ে রাখার দ্ধায়িত্ব পালন করে এ দুজন।
হত্যাকান্ডের পরপরই কেয়ারটেকার আরছ আলী ওরফে আরব আলী আত্নগোপনে চলে যায়। হত্যার পরপর হত্যাকারীরা আক্তার-সুমনের বাড়ীতে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী অস্ত্রটি নিরাপদে সরিয়ে রাখার জন্য আরছ আলীর নিকট দেয়।
আরছ আলী তা নিয়ে আক্তার-সুমনের বাড়ীর পেছনের গেইট দিয়ে বের হয়ে তা শীতলক্ষামাঠস্থ নিজ ভাড়া বাসায় রেখে আত্নগোপনে চলে যায়। পরে ফোন করে ছোট ভাই গ্রেপ্তারকৃত আজমীর কে তা অনত্র অপর একজনের নিকট দিয়ে আসতে বলে।
তিনি আরো জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ সকল কিছু স্বীকার করা ছাড়া ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫ টার দিকে ফতুল্লা পূর্ব লালপুর রেললাইনস্থ নিজ বাড়ী থেকে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুনকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দূবৃত্তরা।
এর একদিন পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ ক্যাডার আক্তার-সুমন সহ ১১ জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ সিসিফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আরিফুল ইসলাম আরিফ নামের এক যুবক কে গ্রেপ্তার করে। সে ইতিমধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর আজম র
এছাড়াও পড়ুন:
সোয়া ২ কোটি টাকার চেক নেন সাবেক এমপির কাছ থেকে
সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের নাখালপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চেক উদ্ধারের বিষয়টি জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তবে এই চেক কোন প্রতিষ্ঠান দিয়েছে, তা তিনি জানাননি।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ওই সোয়া দুই কোটি টাকার চেক নেওয়া হয়েছে রংপুর-৬ আসনে (পীরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ট্রেড জোন’ থেকে। ট্রেড জোনের পোশাক কারখানাসহ নানা ব্যবসা রয়েছে।
ট্রেড জোনের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সোয়া দুই কোটি নয়, মোট ৫ কোটি টাকার ১১টি চেক নিয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাকসহ ছয়জন। তবে একটি চেকের বিপরীতেও তাঁরা টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। কারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে ট্রেড জোন কর্তৃপক্ষ টাকা রাখেনি। তিনি বলেন, টাকা উত্তোলন করতে না পেরে রাজ্জাকসহ অন্যরা ট্রেড জোনের মালিককে হুমকি দিচ্ছিলেন।
রাজ্জাকসহ অন্যরা কীভাবে চেক নিয়েছিলেন, তা প্রথম আলোকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম।
শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে প্রথম দফায় ১০ লাখ টাকা নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার টাকা নিতে গিয়ে ১৭ জুলাই হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন। প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামির এখন রিমান্ড চলছে। ঘটনাটিতে মামলা করেছেন সিদ্দিক আবু জাফর।
ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। আবদুর রাজ্জাক ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। পরে তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য। গ্রেপ্তারের পর সবাইকে বহিষ্কার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বাদে অন্য সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ