ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হত্যার ঘটনায় আরো  দু জন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কাইচাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র মো. আরছ আলী ওরফে আরব আলী (৪৬) ও তার ছোট ভাই আজমীর(২৬)।

গ্রেফতারকৃতদের কে রোববার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত আরছ আলী ওরফে আরব আলী কে তিন দিনের এবং আজমির কে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এর আগে শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ফতুল্লা থানার লালখা শিতলক্ষা মাঠ থেকে আজমীর কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিনার দিবাগত রাত একটার দিকে  গাজিপুর থেকে আরছ আলী  ওরফে আরব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত দুজনের মধ্যে আরছ  আলী ওরফে আরব আলী  আওয়ামীলীগ ক্যাডার আক্তার -সুমনের  বাড়ীর কেয়ারটেকার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দুজন আপন ভাই।হত্যাকান্ডের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি নিরাপদে সরিয়ে রাখার দ্ধায়িত্ব পালন করে এ দুজন।

হত্যাকান্ডের পরপরই কেয়ারটেকার আরছ আলী  ওরফে আরব আলী আত্নগোপনে চলে যায়। হত্যার পরপর হত্যাকারীরা আক্তার-সুমনের বাড়ীতে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী অস্ত্রটি নিরাপদে সরিয়ে  রাখার জন্য আরছ আলীর নিকট দেয়।

আরছ আলী তা নিয়ে আক্তার-সুমনের বাড়ীর পেছনের গেইট দিয়ে বের হয়ে তা শীতলক্ষামাঠস্থ নিজ ভাড়া বাসায় রেখে আত্নগোপনে চলে যায়। পরে ফোন করে ছোট ভাই গ্রেপ্তারকৃত আজমীর কে তা অনত্র অপর একজনের নিকট দিয়ে আসতে বলে।

তিনি আরো জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ সকল কিছু স্বীকার করা ছাড়া ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।

উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫ টার দিকে  ফতুল্লা পূর্ব লালপুর রেললাইনস্থ নিজ বাড়ী থেকে  থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুনকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দূবৃত্তরা।

এর একদিন পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ ক্যাডার আক্তার-সুমন সহ ১১ জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলা দায়েরের পর পুলিশ সিসিফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আরিফুল ইসলাম  আরিফ নামের এক যুবক কে গ্রেপ্তার করে। সে ইতিমধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর আজম র

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক নিহত

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আব্দুল হাকিম (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৫ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ইউনিয়নের ফুলতলি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মংক্য মারমা এ তথ্য জানান। কে বা কারা কেন এই যুবককে হত্যা করেছে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

নিহত আব্দুল হাকিম রাখাইল ইউনিয়নের খন্তাকাটা ঘোনিয়াখোলা এলাকার মৃত বাহার আলীর ছেলে।

আরো পড়ুন:

নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১

বগুড়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে ২ পুলিশ আহত

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, আজ সকাল সাড়ে ১১টার পর ৯-১০ জন অস্ত্রধারী ফুলতলি গ্রামে যান। তারা আব্দুল হাকিমকে লক্ষ্য করে ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই আব্দুল হাকিম মারা যান।

চন্দ্রঘোনা থানার ওসি (তদন্ত)  ইমরুল হাসান বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়রা পুলিশকে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। কে বা কারা কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।” 

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ