মোহাম্মদ নবীর বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে। তার বয়সের পিছু নিয়ে ছেলেও হাজির হয়েছে জাতীয় দলের দরজায়। তাইতো মোহাম্মদ নবী এখনই অবসর নিতে চান না। পিতা-পুত্র একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলে তবেই অবসরে যেতে চান।

যদিও তিনি গেল বছর বলেছিলেন ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলে অবসরে যাবেন। তবে এখন তিনি নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন ভবিষ্যত নিয়ে।

নবী বলেন, ‘‘এগুলো আমার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে হচ্ছে না। আমি হয়তো সামনে কম কম ওয়ানডে খেলব। যাতে তরুণরা বেশি বেশি সুযোগ পায় এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। ইতোমধ্যে আমি এ বিষয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনাও করেছি। উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে আমি খেলতেও পারি, আবার নাও খেলতে পারি। দেখা যাক। সেটা অবশ্য আমার ফিটনেসের ওপর নির্ভর করবে।’’

আরো পড়ুন:

স্টেডিয়ামে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা না রাখার ব্যাখ্যা দিলো পাকিস্তান

৫ কোটির ‘ভিআইপি টিকিট’ বিক্রি করে পিসিবি প্রধান বসবেন সাধারণ বক্সে

নবীর ১৮ বছর বয়সী ছেলে হাসান ইসা খীল গেল বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে খেলেছেন। তাইতো নবী এখন স্বপ্ন দেখছেন পিতা-পুত্র একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলার, ‘‘এটা আমার স্বপ্ন। আশা করছি সেটা আমরা পূরণ করতে পারব। সে খুব ভালো করছে। সে খুবই কঠোর পরিশ্রমী এবং আমি তাকে আরও পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করি।’’

‘‘আমি চাই সে তার নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুক। যদি আপনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে খেলতে চান তাহলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। এখন কেবল ৫০ কিংবা ৬০ করা যথেষ্ট নয়, আপনাকে ১০০ উর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলতে হবে। সে আমার কথা শুনে এবং নিজেকে এগিয়ে নিতে কাজ করে। যখন সে আমার সঙ্গে কথা বলে তখন আমি চেষ্টা করি তাকে উপদেশ দিতে। যাতে সে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়।’’

এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তান রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারই প্রথম আফগানিস্তান আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে যাচ্ছে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তারা সেরা ছয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ করে নেয়। শুধু তাই নয়, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তারা সেমিফাইনাল খেলেছিল। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তাদের নিয়ে অনেক ক্রিকেটবোদ্ধা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। এরপর ২৬ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে তারা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন জ ত য় দল

এছাড়াও পড়ুন:

২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি

গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।

বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।

মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।

যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।

বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।

মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।

ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় কোটি শ্রমিক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বাইরে
  • ‘আগে সাকিব ভাই করতেন, এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি’
  • বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা চেয়ারম্যানের
  • ৩ কর্মকর্তার অবসর ও বরখাস্তের আদেশ আদালতে বহাল
  • নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন
  • পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংস্কার এখনই প্রয়োজন
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
  • বাবার মরদেহ দুই বছর লুকিয়ে রাখেন সন্তান