১২টি গুলিতে বুক ঝাঁজরা একটি লাশ পড়ে আছে। তার সৎকার হয়নি। পচে ফুলে ঢোল হয়ে উঠেছে। শেয়াল-শকুন-মাছিরা এই গন্ধে এসে নাচানাচি করছে। মানুষকে ব্যঙ্গ করে তারা বলছে, ‘আমাদের হাতে কাঁটাচামচ নাই কিন্তু আমাদের হাতে নখ আছে। আমাদের টাই নাই কিন্তু আমাদের গলায় খাই খাই সুড়সুড়ি আছে।’
লাশের সৎকার হয়নি। সে তাদের কাছে মিনতি করে বলছে, ‘আমার এখনো সৎকার হয়নি। তোরা এভাবে একটা মানুষ খেতে পারিস না। ইঁদুর খা, গরু খা, উট খা, ছাগল খা, যা পাস তাই খা, আমারে কেন?’ উত্তরে ওরা লাশকে বলছে, ‘তুই কি সৎ যে তোর সৎকার হবে? তুই কোন সভ্য দেশের সন্তান? তোরা সন্তান না শয়তান, তোরা সবগুলো শয়তান। দুপায়া বানর।’

‘ঊনমানুষ’ নাটকে বিদ্রূপাত্মক এই সংলাপে বিপন্ন মানবতা ও মানবসভ্যতার প্রতি তীব্র শ্লেষ দর্শকদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আমরা এখনো মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। আমরা আসলে অসম্পূর্ণ মানুষ। এখানেই ‘ঊনমানুষ’ নামকরণের সার্থকতা।
জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে সব জেলায় প্রযোজনাকেন্দ্রিক নাট্য কর্মশালা ও শহীদ মুনীর চৌধুরীকে স্মরণ করে প্রথমবারের মতো মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসবে গতকাল রোববার রাতে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে।  

‘ঊনমানুষ’ নাটকের দৃশ্য। প্রথম আলো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার আহ্বান

“রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে, করতে হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। তাহলে পুলিশ জনতার পুলিশ হয়ে উঠবে।”‌

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের বিশেষ আয়োজন ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী হিসেবে পুলিশ বানানো হয়েছিল। এ কারণে পুলিশ কখনো জনতার পুলিশ হতে পারেনি। রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশের অপব্যবহার হয়েছে। ব্যবহার হয়েছে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ও বিরোধী মত দমনে। এসব কারণে জনগণ পুলিশের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। পুলিশকে জনতার পুলিশে পরিণত করতে হলে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সাবেক পুলিশপ্রধানরা বলেন, পুলিশকে স্বাধীনতা দেওয়া হলেও ব্যক্তি স্বার্থে দালালি করেছে।‌ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে জনতার পুলিশ হওয়ার লড়াই পুলিশকেই চালিয়ে যেতে হবে। 

শক্তি নয়, নৈতিকতা বড় অস্ত্র—এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন— নিউ এইজের সম্পাদক নুরুল হুদা, এপেক্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির মঞ্জুর, কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সায়মা চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক, খেলোয়াড়সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ