উত্তরায় দম্পতিকে কোপানোর ঘটনায় মামলায় গ্রেপ্তার ২, অন্যদের ধরতে অভিযান
Published: 18th, February 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় দম্পতিকে রামদা দিয়ে প্রকাশ্যে কোপানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলাটি হয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে। মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজ সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ঘটনাটি ঘটে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে, উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়। তাঁরা হলেন মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২৭)।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বেলা পৌনে তিনটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আটক দুজনকে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ডিসি তালেবুর রহমান।
আরও পড়ুনভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘দাও দিয়ে কোপাইতেছে, এটা কোনো কথা!’১ ঘণ্টা আগেঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়েছিল। এ ঘটনায় প্রথমে রিকশাচালক প্রতিবাদ করেন। পাশের আরেকটি মোটরসাইকেলে ছিলেন এক দম্পতি। তাঁরাও এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তখন ধাক্কা দেওয়া মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আরও কয়েকজনকে ডেকে আনেন। পরে ওই দম্পতির ওপর দুজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। হামলাকারীরা স্থানীয় অপরাধী চক্রের সদস্য।
আরও পড়ুনউত্তরায় দম্পতির ওপর রামদা দিয়ে প্রকাশ্যে হামলা, ভিডিও ভাইরাল৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।
জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।
ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।
আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’
জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল