রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ছাত্রশিবির আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রকাশনা উৎসব বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে প্রশাসনের প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড.

মো. আশাবুল হক।

জানা যায়, পূর্বঘোষিত ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি এ দুইদিনের অনুষ্ঠানে প্রথম দিন শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের জন্য অপেক্ষা না করে স্টলগুলো তুলে দিতে বলে প্রশাসন। অন্যথায় স্টল ভেঙে ক্লিন করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে অনুষ্ঠানে এসে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক বলেন, বাধা দেওয়া হয়নি বরং আমরা আয়োজকদের অনুরোধ করেছি যেন তারা অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করে এবং আজকের মধ্যেই শেষ করে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও ২১ ফেব্রুয়ারির প্রস্তুতির বিষয় বিবেচনায় নিয়েই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা না শুনলে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

তবে আয়োজক ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রকাশনা উৎসবটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হচ্ছিল এবং এতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা ছিল না। 

এদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকেই প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানালেও অনেকে এর বিরোধিতা করছেন। প্রকাশনা উৎসবে আগত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এখানে কেবলমাত্র বই দেখতে ও কিনতে এসেছি। এটা তো কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়, তাহলে কেন এটি বন্ধ করা হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন চিন্তার বিকাশ হওয়া উচিত, কিন্তু বারবার এভাবে বাধা দেওয়া হলে আমাদের জুলাইয়ের উদ্দেশ্য ব্যহত হয়।

এ নিয়ে শেকৃবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবুল হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য একটি প্রকাশনা উৎসব করেছি। যা আমরা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেছি এবং প্রশাসনের মৌন সম্মতিতে করেছি। ২১ ফেব্রুয়ারি আয়োজন বিবেচনায় রেখে আমরা অনুষ্ঠানটি শহিদ মিনারের পাশে থেকে সরে টিএসসির সামনে আনি। পাশাপাশি রাত ৮ টার মধ্যে সব কার্যক্রম শেষসহ স্থানটি আগের মতো পরিচ্ছন্ন করে রাখারও কথা দিয়েছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক