ঈশ্বরদীতে ৪০ শিক্ষার্থী উপহার হিসেবে পেল নতুন বাইসাইকেল। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাদের এ উপহার দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার মানিকনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাদের হাতে সাইকেল তুলে দেন এমটিবি ফাউন্ডেশনের সিইও সামিয়া চৌধুরী।
নতুন সাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী আরিশা নূর নাবিলা জানায়, বিদ্যালয় থেকে তাদের বাড়ি সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে। আসা-যাওয়ার পথে ঠিকমতো গাড়ি পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারত না। সাইকেল পাওয়ায় এখন আর ক্লাস মিস হবে না।
উচ্ছ্বসিত আরেক শিক্ষার্থী সামিহা জাহান জানায়, তার বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। সংসারে অভাব-অনটন নিত্যসঙ্গী। সাইকেল কিনে দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই তাঁর। সাইকেল পেয়ে খুব ভালো লাগছে। সাইকেল পেয়ে তার খুব আনন্দ হচ্ছে। এই প্রাপ্তির প্রতিদান সে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে দেবে বলে জানায়।
প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে যারা অনেক দূর থেকে স্কুলে আসে হেঁটে। সচ্ছলতা না থাকায় রিকশায় আসতে পারে না। দূরের পথ হেঁটে স্কুল করায় অসুস্থ হয়ে পড়ত। ক্লাস মিস হতো অনেকের; যার প্রভাব পড়ত পরীক্ষার ফলাফলে। তাদের অনেকেই সাইকেল পেয়েছে। এতে পড়ালেখা ও স্কুলে আসার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। পরীক্ষার ফলও ভালো হবে।’
এমটিবি ফাউন্ডেশনের সিইও সামিরা চৌধুরী বলেন, দূরত্ব ও আর্থিক অনটনের কারণে গ্রামের মেয়েশিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। তারা যাতে পড়ালেখায় পিছিয়ে না থাকে সেজন্য এ উদ্যোগ। খুঁজে খুঁজে এ ধরনের শিশুদের সাইকেল উপহার দিয়ে স্কুলে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
‘স্কুলে যেতে দূরত্ব যেন বাধা না হয়’–স্লোগানে এ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান।
উচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখা ব্যবস্থাপক জামিলুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম, আজীবন দাতা সদস্য তাসলিম আরিফ, সাংবাদিক সেলিম সরদার। উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক রাজন আলী, উম্মে হুমায়রা, শিক্ষার্থী সামিহা জাহান, আরিশা নূর নাবিলা প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।