Samakal:
2025-09-18@07:38:48 GMT

‘এখন আর ক্লাস মিস হবে না’

Published: 19th, February 2025 GMT

‘এখন আর ক্লাস মিস হবে না’

ঈশ্বরদীতে ৪০ শিক্ষার্থী উপহার হিসেবে পেল নতুন বাইসাইকেল। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাদের এ উপহার দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার মানিকনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাদের হাতে সাইকেল তুলে দেন এমটিবি ফাউন্ডেশনের সিইও সামিয়া চৌধুরী। 

নতুন সাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী আরিশা নূর নাবিলা জানায়, বিদ্যালয় থেকে তাদের বাড়ি সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে। আসা-যাওয়ার পথে ঠিকমতো গাড়ি পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারত না। সাইকেল পাওয়ায় এখন আর ক্লাস মিস হবে না। 

উচ্ছ্বসিত আরেক শিক্ষার্থী সামিহা জাহান জানায়, তার বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। সংসারে অভাব-অনটন নিত্যসঙ্গী। সাইকেল কিনে দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই তাঁর। সাইকেল পেয়ে খুব ভালো লাগছে। সাইকেল পেয়ে তার খুব আনন্দ হচ্ছে। এই প্রাপ্তির প্রতিদান সে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে দেবে বলে জানায়।

প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে যারা অনেক দূর থেকে স্কুলে আসে হেঁটে। সচ্ছলতা না থাকায় রিকশায় আসতে পারে না। দূরের পথ হেঁটে স্কুল করায় অসুস্থ হয়ে পড়ত। ক্লাস মিস হতো অনেকের; যার প্রভাব পড়ত পরীক্ষার ফলাফলে। তাদের অনেকেই সাইকেল পেয়েছে। এতে পড়ালেখা ও স্কুলে আসার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। পরীক্ষার ফলও ভালো হবে।’

এমটিবি ফাউন্ডেশনের সিইও সামিরা চৌধুরী বলেন, দূরত্ব ও আর্থিক অনটনের কারণে গ্রামের মেয়েশিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। তারা যাতে পড়ালেখায় পিছিয়ে না থাকে সেজন্য এ উদ্যোগ। খুঁজে খুঁজে এ ধরনের শিশুদের সাইকেল উপহার দিয়ে স্কুলে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।

‘স্কুলে যেতে দূরত্ব যেন বাধা না হয়’–স্লোগানে এ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান। 

উচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখা ব্যবস্থাপক জামিলুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম, আজীবন দাতা সদস্য তাসলিম আরিফ, সাংবাদিক সেলিম সরদার। উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক রাজন আলী, উম্মে হুমায়রা, শিক্ষার্থী সামিহা জাহান, আরিশা নূর নাবিলা প্রমুখ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ