পাতাল মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ৮০ কিলোমিটার
Published: 20th, February 2025 GMT
এমআরটি লাইন-১ বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের পাতালে সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টা ৮০ কিলোমিটার। আর উড়াল মেট্রোট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার হবে। পাতাল মেট্রোরেলে প্রতিদিন ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিড ডেভেলপমেন্ট (লাইন-১)-এর প্রকল্প পরিচালক মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি একমুখী মেট্রোট্রেন প্রতিবারে ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত এবং ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের দূরত্ব ১৮.৯৩ কিলোমিটার। যাতায়াতে মোট সময় লাগবে ৩৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। স্টেশনে যাত্রাবিরতি সময় ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪৫ সেকেন্ড।
দুই স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকে প্রতি ঘণ্টায় ৯৯ কিলোমিটার। উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল স্টেশনগুলোতে যাত্রাবিরতি করা না হলে পরিকল্পনা করা মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। ঐকিক নিয়মে মেট্রোরেলের গতিবেগ হিসাব যুক্তিযুক্ত নয়।
এতে আরো বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর রুটের পাশাপাশি টানেল মাটির উপরিভাগ থেকে কম-বেশি ১০ মিটার থেকে ১৩ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে।
তবে কমলাপুর হতে রামপুরা পর্যন্ত এলাকায় সড়কের প্রশস্থতা কম থাকায় উপর-নিচ পদ্ধতিতে মাটির উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ মিটার গভীরতায় টানেল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া কুড়িল থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত উড়াল অংশের উচ্চতা রোড লেভেল থেকে রেল লেভেলের উচ্চতা ১৪.১ মিটার থেকে ১৮.৩ মিটার রাখা হয়েছে।
প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে সর্বোচ্চ ৩০৮৮ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে এবং সর্বনিম্ন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ফ্রিকোয়েন্সিতে মেট্রোট্রেন চলাচল করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১ এর পাতাল মেট্রোট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং উড়াল মেট্রোট্রেনের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। এতে অল্প সময়ে বেশি সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।
ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হ্রাস পাবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার কম হবে। ঢাকা মহানগরীর জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। যানজট বহুলাংশে হ্রাস পাবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয় করা কর্মঘণ্টা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন ট ৩০ স ক ন ড ল ইন ১
এছাড়াও পড়ুন:
লঞ্চ হলো পালসার F250
বাজাজ পালসার সিরিজের Pulsar F250 বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ হলো। বৃহস্পতিবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাইকটি লঞ্চ করা হয়।
২৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার অয়েল কুল্ড ইঞ্জিনের এই বাইকটি সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৫ হর্সপাওয়ার এবং ২১ দশমিকি এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। বাইকটিতে রয়েছে পাঁচ স্পিড গিয়ারবক্স।
ফিচার্সের মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার,ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন। ব্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে এতে রয়েছে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস। বাইকটির সামনে রয়েছে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন এবং পেছনে মনোশক। বাইকটির সিটের উচ্চতা ৭৯৫ মিমি, ওজন ১৬৪ কেজি এবং সর্বোচ্চ গতি ১৩০ কিমি/ঘণ্টা। বাইকটিতে রয়েছে তিনটি মোড- রেইন, রোড এবং স্পোর্টস।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ লঞ্চ হলো সিএফ মটোর ৩ বাইক
বাইক ডেলিভারি নেওয়ার আগেই এগুলো দেখে নিন, নইলে ঠকবেন
বাইকটির দাম ধরা হয়েছে তিন লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
ঢাকা/শাহেদ