কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুইটি ঘরে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার কুতুপালং ২০-এক্সটেনশন ক্যাম্পের বি-২ ব্লকে ঘটনাটি ঘটে। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সিরাজ আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

আহতরা হলেন- আব্দুল মাজেদের ছেলে সামসুল আলম (৪৫), তার ছেলে আলাউদ্দিন (১২), মেয়ে মর্জিনা (১৩) ও মরিয়ম (১০)।

আরো পড়ুন:

লঞ্চে তাস খেলায় বাধা দেওয়ায় হামলা, আহত ১০

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা, ওসি প্রত্যাহার

১৪ এপিবিএন অধিনায়ক মোহাম্মদ সিরাজ আমীন বলেন, ‘ভোরে ক্যাম্পের বি-২ ব্লকের বাসিন্দা হাসিনা বেগমের ঘরে ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে ৭০ হাজার টাকা লুট করে। পরে পাশে তার বোন সাজেদা বেগমের ঘরে ঢুকে আরো ৮৬ হাজার টাকা লুট করে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতরা। প্রতিবেশী সামসুল আলমসহ অন্যরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। এসময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে আহত হন চারজন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ক্যাম্পসংলগ্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়।”

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ