পঞ্চগড়ে ভাষা সৈনিক সুলতান বই মেলা শুরু
Published: 22nd, February 2025 GMT
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পঞ্চগড়ে আট দিনব্যাপী ভাষা সৈনিক সুলতান বইমেলা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই বইমেলা বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম ইমাম রাজি টুলু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল কাদের, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বীসহ জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
‘জোনাকি পোকার মতো বই অন্ধকারে আলো ছড়ায়’
মধুসূদনের জন্মদিন উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন
পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিমের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের মতো পঞ্চগড় ভাষা সৈনিক সুলতান বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সব বয়সের এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যাতে নিজেদের পছন্দ মতো বই কিনতে পারেন, বই পড়তে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও পঞ্চগড়ের ভাষা শহীদ মো.
মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী, রাজনৈতিক ও ইসলামিক সংগঠনের প্রকাশনীর ৩৪টি স্টল অংশগ্রহন করেছে। মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া সরকারি অডিটোরিয়াম হলরুমে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃতি, স্থানীয় কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রখেছে জেলা প্রশাসন।
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর বইম ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।