উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় বাজেট বৃদ্ধি জরুরি
Published: 22nd, February 2025 GMT
বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ কমাতে ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে এ রোগের ওষুধ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। তবে, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃণমূল পর্যায়ের সকল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহের জন্য বর্ধিত এবং টেকসই অর্থায়ন জরুরি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অনলাইনে আয়োজিত ‘উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় বাজেট বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) কর্মশালাটির আয়োজন করে। কর্মশালায় সিলেট বিভাগে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ৪৭ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ যা মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য দায়ী। তবে এসব রোগ মোকাবিলায় অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৪ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় ওষুধের সরবরাহ নিয়মিত রাখার বিষয়টিকে প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অংশ হিসেবে অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও এ খাতে অর্থ বরাদ্দ এবং বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহারে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কমেছে সবজির দাম
বাজারে সবজির দাম কমলেও সাধারণ সময়ের মতো ক্রেতাদের সমাগম দেখা যায়নি। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটি কাটিয়ে এখনো রাজধানীতে সব মানুষ ফিরেনি।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানীর নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে। তবে মাছের দাম সামান্য বেড়েছে। এখন বাজারে বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর (দেশি) ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০, দেশি শশা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০, ঢেড়শ ৪০, জালি কুমড়া ৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় সামান্য বেড়েছে মাছের দাম। এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়।চাষের পাঙাস কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ থেকে ৬০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ঈদুল আজহায় দেশে ৯১ লাখ পশু কোরবানি
ঢাকা দক্ষিণে বর্জ্য সরানোর কাজ শেষ, ৩১ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ
ব্রয়লার মুরগির দাম স্বাভাবিক রয়েছে।এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১৫০টাকা কেজি দরে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।
এদিকে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ ও দেশি আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী ফরিদা আক্তার রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাজারে এখন সবজির দাম কম। চাহিদামতো নিতে পারছি।”
রাজধানীর নিউমার্কেটর সবজি বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো। দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। তবে আজ বাজারে ক্রেতাদের সমাগম কম। কারণ এখন অনেক মানুষ ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় আসেনি।এই সময় আমাদের অনেক বিক্রি হতো কিন্তু আজকে এখন পর্যন্ত বেশি বিক্রি করতে পারিনি।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ