ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের ব্যবহার বেড়েই চলছে। এবার বিদেশি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি জায়গা করে নিতে এসিআই নিয়ে এলো নতুন প্রজন্মের ফর্মুলেশনে তৈরি প্রথম ব্র্যান্ড অ্যাঞ্জেলিনা।

অ্যাঞ্জেলিনা রেঞ্জের প্রথম পণ্য অ্যাঞ্জেলিনা হায়ালুরনিক বুস্টার দেশের সব জায়গার বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে।

সম্প্রীতি বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে অ্যাঞ্জেলিনার পদযাত্রার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এই আয়োজনে ‘ব্র্যান্ড ফেইস’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাজিফা তুশিকে।

এসিআই লিমিটেডের বিজনেস ডিরেক্টর খন্দকার ইশতিয়াক আহমদ, জেনারেল ম্যানেজার সেলস মিজানুর রহমান, জেনারেল ম্যানেজার ফ্যাক্টরি অপারেশনস দীপঙ্কর বিশ্বাস, জেনারেল ম্যানেজার মিডিয়া অ্যান্ড কম্যুনিকেশন মো.

নাহিদ নেওয়াজ, ব্র্যান্ড ম্যানেজার রওনক জাহান, ব্র্যান্ড লিড আনান মাসুম অহনা, ও অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে অ্যাঞ্জেলিনা হায়ালুরনিক বুস্টারের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ত্বকের সৌন্দর্য নিয়ে যা পণ্য ব্যবহার করা হয় তার অধিকাংশ পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এসব পণ্য ব্যবহার করে হতাশায় ভোগেন অনেকেই।

তাই সমস্যার সমাধানে, ত্বকের পরিচর্যাকে আরো কার্যকর করতে এলো অ্যাঞ্জেলিনা হায়ালুরনিক বুস্টার। এর হায়ালুরনিক এসিড, গ্লিসারিন ও গোলাপের নির্যাস সমৃদ্ধ নতুন প্রজন্মের ফর্মুলেশন শুষ্কতা দূর করে ত্বকে আনবে সতেজ সৌন্দর্যের আভা।

অ্যাঞ্জেলিনা হায়ালুরনিক বুস্টার এখন দেশের সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ