নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এস.এস.সি ব্যাচ '৯৮ বন্ধুত্বের ২৭ বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চাষারার লা-ভিস্তা রুফটপ রেস্টুরেন্ট কেক কেটে এই উৎসব উৎযাপন করে সকল বন্ধুরা। অনুষ্ঠানের ভাষা শহীদ ও মৃত বন্ধুদের স্মরণে নীরবতা পালনের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। আড্ডা, ছবি তোলা, পুরনো স্মৃতিচারন, খুশগল্পে মেতে উঠে তারা। এ যেন ১৯৯৮ সালে ফিরে যাওয়ার মত ঘটনা।   

দীর্ঘ ২৭ বছর পর তাদের আয়োজনে আবেগে আপ্লত হয়ে পরে অনেকে। আয়োজনের উদ্যোক্তা বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কেউ কেউ। আড্ডার ফাকে চলে খাওয়াদাওয়া। এভাবেই চলতে থাকে রাত-১০টা পর্যন্ত।

 

এক প্রতিক্রিয়ায় ৯৮ এর বন্ধু মোঃ এ এইচ আশু বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর পর আজই প্রথমবারের মত একত্রিত হয় ফতুল্লা পাইলট স্কুলের এস.

এস.সি-১৯৯৮ সালের শিক্ষার্থীরা। সব বন্ধু একত্রিত হয়ে ভবিষ্যতে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করে।

 

আরেক প্রতিক্রিয়ায় ৯৮ এর বন্ধু মোঃ শরিফুল ইসলাম তুষার বলেন, অনেক উৎসাহ নিয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে বন্ধুরা। জ্যাম ঠেলে অনেকের বাসায় পৌঁছতে রাত-১ টা বেজে গেলেও তাদের মধ্যে কোন কষ্ট অনুভব হয়নি।

 

প্রতিক্রিয়ায় ৯৮ এর বন্ধু শহিদুল ইসলাম মুন্সি বলেন, অনেক ভালো একটা অনুষ্ঠান করতে পেরে আমরা ভীষণ আনন্দিত।

 

আরেক প্রতিক্রিয়ায় ৯৮ এর বন্ধু রাজিয়া আক্তার লাবন্য বলেন, এটা আমাদের জন্য অনেক বেশি আনন্দের একটা দিন। আজ আমরা ২৭ বছর পর অনেককেই দেখলাম। দীর্ঘ এত বছর পর পুরনো বন্ধুদের নতুন করে পাওয়ার স্মৃতি অনেক বেশি আনন্দ যুগিয়েছে আমাদের।  

 

বিদেশে অবস্থান করা ৯৮ এর বন্ধু খালিদ হোসেন সুমন হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, অনুষ্ঠানে না থাকতে পেরে নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। মন চাচ্ছিল সকল বাঁধা অতিক্রম করে সবার সাথে আনন্দে মিলিত হই।  

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আয়েশা আক্তার শাপলা, রোকেয়া ইসলাম বন্যা, মমতাজ বেগম, ফাতেমা সুলতানা মনি, ফারহানা রহমান পপি, নাজমা আক্তার, ফাতেমা তুজ জোহরা লেসমী, কামরুন নাহার কলি, নাজমা রহমান মলি, কামরুন নাহার নাসরিন, শারমিন সুলতানা শম্পা, আমেনা বেগম, ওমর ফারুক, সালাহ উদ্দিন সোহেল, নুরুজ্জামান খান রাসেল, মোহাম্মদ মোহসীন, আমিনুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, নুরুল আমিন, এছহাক আলী, মাহামুদুল ইসলাম শাকিল, মিজানুর রহমান, মাহাবুবুর রহমান, রিমেন বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন, তসনিম আহমেদ রাসেল,  শরিফ হোসেন টুটুল, ডাঃ কামরুল হাসান সরকার, মজিবুল হায়দার সুজন, জাকির হোসেন, ডাঃ সাইফুদ্দিন মিলন, রমজান আলী, রুহুল আমিন, শফিকুল ইসলাম, শফিউর রহমান সেলিম, শাহিন আহমেদ দিপু, মইনুল ইসলাম সুমন, ইয়াছিন শেখ, মোঃ আল আমিন আলী, মনিরুল ইসলাম মান্নান, পংকজ দাস, নাসির উদ্দিন জুম্মন, শাহাদাৎ হোসেন, মাহাবুবুর রহমান পাপ্পু, আল ইমরান উপল, সিরাজুল ইসলাম অয়ন, শৈলেন দাস, ইমতিয়াজ জনি, ইব্রাহিম খলিল, কাওছার বিন মাহমুদ, মোঃ খায়রুল আলম, আল আমিন, জানে আলম, মোঃ সুমন, সেলিম মিয়া, মঞ্জুর ইসলাম সুজন, মোঃ মুন্না প্রমুখ।


বিদেশ থেকে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন, মোহাম্মদ রায়হান সোহেল, খোরশেদ ফারুক পিয়াল প্রমুখ।

 
অনুষ্ঠানে এ্যডমিন প্যানেলের পক্ষ থেকে সকলের হাতে শুভেচ্ছা স্বারক তুলে দেন গ্রুপ এ্যডমিনবৃন্দ। সকল এ্যডমিনবৃন্দের পক্ষে শুভেচ্ছা স্বারক খরচ বহন করে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত বন্ধু শফিকুল ইসলাম সুমন।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ন র রহম ন ল ইসল ম বছর পর ল আম ন আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক