পার্বত্য চট্টগ্রামের নেতা রিংরঙ ম্রোর মুক্তির দাবি
Published: 23rd, February 2025 GMT
বান্দরবানের লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের করা মামলায় গ্রেপ্তার ম্রো নেতা রিংরঙ ম্রোর মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকার আদিবাসী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলো। রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রেং ইয়ং ম্রো বলেন, ‘লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি আধিপত্য বিস্তার করে ভূমি দখল করে রেখেছে। কাগজপত্র, ভূমি ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী তাদের এই দখল অবৈধ। ইজারা নেওয়ার পর থেকে ২৮ বছর তারা কোনো রাবার চাষ করেনি।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী, রাবার চাষের জন্য ভূমি ইজারা নেওয়ার পর ১০ বছর চাষ না হলে ইজারা বাতিল হবে। কিন্তু ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির ইজারা বাতিল করা হয়নি।
রেং ইয়ং বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। রিংরঙ ম্রো ভূমি রক্ষার আন্দোলনে জড়িত থাকায় তাকে সরকার গ্রেপ্তার করেছে। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়ায় এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা খুবই ন্যক্কারজনক। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে পুলিশের সাধারণ পোশাকে এ ধরনের গ্রেপ্তারের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, প্রশাসন কি রাবার ইন্ডাস্ট্রির কথায় ওঠেন-বসেন? রিংরঙ ম্রোর মিথ্যা মামলা যাচাই-বাছাই ছাড়া তাকে কেন গ্রেপ্তার করল? তাকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে, আমরা আন্দোলন করে যাব। এখনই সাবধান না হলে দেশব্যাপী পাহাড়ি জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, ইন্ডাস্ট্রির সন্ত্রাসীরা ম্রোকে তুলে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। শেখ হাসিনার সময়েও এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে দহরম-মহরম ছিল। এখনও তা বলবৎ আছে।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের সুফল কি কেবল বাঙালিরা পাবে? আমরা যারা পাহাড়ি তাদের জন্য কি এর সুফলের কোনো ভাগ থাকবে না? অবৈধ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা বুঝব শেখ হাসিনার চরিত্র আর এই সরকারের চরিত্রের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।’
লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজকে ১৯৯৬ সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক রাবার চাষের জন্য লিজ দেওয়া হয়। লিজ নেওয়ার পর থেকে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল, ম্রো ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীকে হুমকি ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ব র ইন ড স ট র ইন ড স ট র র ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।