Samakal:
2025-06-15@12:40:18 GMT

সাবিনাদের ভুলে গেলেন আফেইদা!

Published: 24th, February 2025 GMT

সাবিনাদের ভুলে গেলেন আফেইদা!

বাফুফে ভবনের সামনের মাঠে একসঙ্গে ফটোসেশনে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। অতীতে এই ফটোসেশনে সাবিনা খাতুন-মনিকা চাকমাদের দেখা যেত। ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ১৮ জনের কেউই নেই এবার। ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল ফটোসেশনে এমন দৃশ্য দেখে সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে এসেছে সাবিনাদের প্রসঙ্গ। 

সোমবার আমিরাতের উদ্দেশে দেশছাড়ার আগে দলের অধিনায়ক আফেইদা খন্দকারের কথাতে মনে হয়েছে, বিদ্রোহীদের নিয়ে তারা ভাবছেন না। গত বছর যারা নারী সাফের শিরোপা জিতিয়েছেন, সেই ঋতুপর্ণা ও মনিকা চাকমাদের অভাব অনুভব করছেন না বলে জানান আফেইদা, ‘আমি অভাব অনুভব করছি না। কারণ, আগেও আমি এদের (বর্তমান দলের সতীর্থদের) সঙ্গে খেলেছি; অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২০ দলে একই সঙ্গে খেলেছি। সিনিয়ররা যেসব ধাপে অনুশীলন করেছে, আমরাও সেসব ধাপে অনুশীলন করেছি। আমাদের সবার কম-বেশি একই রকম অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। তারা হয়তো অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছে, আমরা হয়তো কম খেলেছি। কিন্তু তাদের মতোই আমরা প্র্যাকটিস করে গেছি। আমরাও একই ধারায় খেলি।’

সাবিনাদের আপত্তি যাঁকে নিয়ে, সেই পিটার বাটলার রোববার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কূটনীতিকের মতো। আফেইদাকে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে দেখতে যেমন চান, তেমনি করে বিদ্রোহীদের জন্য জাতীয় দলের দরজা খোলা আছে বলে জানান বাটলার, ‘এটা পুরোপুরি নতুন একটি দল। আমরা নতুন একজন অধিনায়ক (আফেইদা) পেয়েছি। আমি মনে করি, সে দীর্ঘ সময়ের জন্য অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা রাখে এবং বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সব ধরনের গুণ তাঁর আছে। আমি ইংলিশ ফুটবলের প্রতিটি স্তরে খেলেছি। আপাতত পেছনে আর ফিরতে চাই না। তারা ফিরবে কি ফিরবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের জন্য দরজা সব সময়ই খোলা থাকবে।’

মেয়েদের বর্তমান দলে আছেন সাফজয়ী ৮ ফুটবলার। বাকি ২৩ জনের মধ্যে একেবারেই নতুন মুখ ৯ জন। নতুন এই দল নিয়ে আশাবাদী আফেইদা, ‘আমাদের স্ট্রাইকার লাইন ভালো আছে। ডিফেন্স, মিডফিল্ডও ভালো। আমাদের পুরো দলটিই ভালো। ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো রেজাল্ট করে দেশে ফিরব।’ 

বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞা আছে আফেইদার। সর্বশেষ সাফে ভারতের বিপক্ষে গোল করা আফেইদার বিশ্বাস, পুরো দলকে আগলে রাখতে পারবেন তিনি, ‘আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে অধিনায়কত্ব করেছি। ওই দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় এখানে রয়েছে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছি দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। পেছন থেকে তাদের সমর্থন দিয়ে যাব। ইনশাআল্লাহ আমি সেই চেষ্টা করব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সবকিছু সহ্য করে তিনি আজীবন আমার পাশে থেকেছেন: বাঁধন

মানুষ বছরের একটি দিন বাবার জন্য আলাদা করে রাখতে চায়, যেমনটা রাখা হয় মায়ের জন্য। এই বিশেষ দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের প্রতিটি ধাপে বাবার অবদান কতটা গভীর। আজ বাবা দিবসে বাবা প্রকৌশলী আমিনুল হককে নিয়ে কিছু না বলা কথা বলেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।

তিনি লিখেছেন, “আমার বাবা আমার সুপারহিরো। তিনি আমাকে ভালোবাসা আর বিশ্বাসে এমনভাবে বড় করেছেন যে, আমি যদি কখনো চাঁদ চাইতাম, তিনি বলতেন, ‘অপেক্ষা কর-আমি নিয়ে আসছি।’ আমি তার মূল্যবোধ, শক্তি এবং অটল সাহসের মাঝে বড় হয়েছি।”

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানুষ তিনি-যিনি আমাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন। তার মতো সৎ এবং দেশপ্রেমিক মানুষ আমি আর কখনো দেখিনি।’

বাবার সঙ্গে তার মতের পার্থক্যও আছে বলে জানালেন এই অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘আমাদের মাঝে মতপার্থক্য আছে-সবসময় একমত হই না। তবু আমাদের সম্পর্কে যে জিনিসটি কখনো বদলায়নি, সেটা হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।’

শৈশব থেকে আজ পর্যন্ত বাঁধনকে নিয়ে অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার বাবাকে। তবুও সব মেনে নিয়ে পাশে থেকেছেন তিনি।

বাঁধনের ভাষ্য, ‘আমি কখনোই একেবারে নিয়মমাফিক বা আদর্শ মেয়ে ছিলাম না। শৈশব থেকে আজ অবধি আমি জানি, আমার কারণে তাকে অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি ছিলাম একগুঁয়ে, আবেগপ্রবণ, কখন কী করি বলা যায় না-তবুও সবকিছু সহ্য করে তিনি আজীবন আমার পাশে থেকেছেন।’

সব শেষে বাবাকে ধন্যবা জানিয়ে বাঁধন লিখেছেন, ‘তুমি যেমন, তেমনি থাকার জন্য ধন্যবাদ আব্বু। আমি তোমাকে এত ভালোবাসি-যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ