বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থা সাময়িকভাবে একটা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে। নির্বাচিত ছাত্র সংসদ দ্বারা ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি; তবে তা যেন দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হয় বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। 

তিনি বলেন, ছাত্র সংগঠন যেন দলীয় রাজনীতির জায়গায় নেমে না আসে। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আশুলিয়ার নলামে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন ও গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক বলয় তৈরি, পারস্পারিক সহনশীলতার অভাব, লেজুরবৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি, অপসংস্কৃতি, অপতৎপরতায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নির্বাচিত ছাত্র সংসদ দ্বারা ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। ছাত্রদের ভেতরে উন্নত চেতনা জাগ্রত এবং তাদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলের ও সুশৃঙ্খলতার জন্য ছাত্র সংগঠন প্রয়োজন। কিন্তু সেটা যেন দলীয় রাজনীতির জায়গায় নেমে না আসে।’’ 

এ সময় উপদেষ্টা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি জাফরুল্লার স্মৃতিচারণ করেন।

দীর্ঘ এক দশক পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলো। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিগত ১১ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হয়েছেন ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

সমাবর্তনের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পিএইচডি সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ওয়ালিউল ইসলাম, ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা.

আবুল কাসেম, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/সাব্বির/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি

শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন। 

গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।  

আরো পড়ুন:

‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’

সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?

পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”  

ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।” 

পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ