বইমেলায় রাহিতুল ইসলামের ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক শাহেদা মুস্তাফিজ’
Published: 25th, February 2025 GMT
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম পথিকৃৎ শাহেদা মুস্তাফিজ বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রোগ্রামার। তাকে নিয়ে বই লিখেছেন এই প্রজন্মের লেখক ও সাংবাদিক রাহিতুল ইসলাম। ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক শাহেদা মুস্তাফিজ’ শিরোনামের বইটিতে উঠে এসেছে শাহেদা মুস্তাফিজের সংক্ষিপ্ত জীবনী।
বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা প্রতিভাষা। ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক’ সিরিজের তৃতীয় বই হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে এটি।
বইটি সম্পর্কে লেখক রাহিতুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো আমাদের দেশে প্রোগ্রামিংয়ে নারীরা কম আসেন। সেখানে প্রায় ৫০ বছর আগের চিত্র তো কল্পনাই করা যায় না। কোনো নারী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করতেন না। দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ানো হতো না তখন। সেই পরিবেশেও দমে থাকেননি শাহেদা মুস্তাফিজদের মতো মানুষরা। অথচ তাদের অবদানের কথা ধীরে ধীরে বিস্মৃত হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদান রাখা এমন মোট ১০ ব্যক্তিকে নিয়ে ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক’ সিরিজ প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। বইগুলো পড়ে তরুণ প্রজন্ম জানতে পারবে, কীভাবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এত দূর এগিয়েছে। এই সিরিজ হবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি ঐতিহাসিক দলিল।’
আরো পড়ুন:
প্রকাশিত হয়েছে সাজেদুর আবেদীন শান্ত’র ‘ঈশ্বর ও হেমলক’
বইমেলায় শব্দনীলের কাব্যগ্রন্থ ‘চালাকচরের ফুলপরী’
প্রতিভাষা প্রকাশনের সমন্বয়ক পান্থ দেব রায় জানিয়েছেন, লেখক রাহিতুল ইসলাম অনেক দিন আগে ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক’ সিরিজের বই প্রকাশ শুরু করেছেন। এই সিরিজের তৃতীয় বই তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক শাহেদা মুস্তাফিজ। ৫০ বছরের মতো তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সক্রিয় ছিলেন শাহেদা মুস্তাফিজ। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রোগ্রামার। সেদিক থেকে তার এই সুখপাঠ্য জীবনী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
উল্লেখ্য, এর আগে তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক আবদুল্লাহ এইচ কাফি এবং এস এম কামালকে নিয়ে রাহিতুল ইসলামের লেখা দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক শাহেদা মুস্তাফিজ বইটির মুদ্রিত মূল্য ২৫০ টাকা। বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে গ্রন্থিক প্রকাশনের ১০৩–১০৫ নং স্টলে। প্রচ্ছদ এঁকেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি। বইটি পাওয়া যাচ্ছে প্রথমা ডটকমসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপ এবং সকল বইয়ের দোকানে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র হ ত ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।