রিজভীর বক্তব্যের নিন্দা জানালো জামায়াত
Published: 25th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন ‘জামায়াত যখনই সুযোগ পেয়েছে বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছে’। তার এ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ‘জামায়াত যখনই সুযোগ পেয়েছে বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছে’ মর্মে যে বক্তৃতা করেছেন, তাতে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তার এ বক্তব্য অন্যায়, অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। তার ওই বক্তব্য বিএনপির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য; জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রে নয়। আমি তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী ১৯৯১ সালে নিঃশর্তভাবে সমর্থন দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। বিনিময়ে তারা ক্ষমতায় গিয়ে অধ্যাপক গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে না দিয়ে উল্টো তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে ১৬ মাস জেলে বন্দি করে রেখেছিল।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ১৯৮১ সালেও জামায়াতে ইসলামী বিএনপির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। কিন্তু তিনিও অধ্যাপক গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেননি। এসব দৃষ্টান্ত দেশবাসীর জানা আছে। তাই ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না।
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে এ ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে রুহুল করিব রিজভীকে আহ্বান জানান দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
ধূসর রাত্রি কেবল আকর্ণবিস্তৃত
দূর থেকে উপগত হলে
শিকারি পাখির উড়ে যাওয়ার মতো
ছায়া ভুলে দূরে কোনো অভিভূত রোদে
যারা উড়ে যায়, অথবা উড়তে পারে,
যারা আকস্মিক জলজ বঙ্কিম কোনো
সরু রেখা ধরে নিজেকেই ক্রমাগত
অস্বীকার করে; কিংবা নিজ হাতে গড়া
বুদ্বুদের নাভি ছিঁড়ে রোদ লাগা চোখে
বহুবিধ শিস রাখে বাইরে বাইরে
তারা জানে ভালো করে—চোখের সকল
জমে থাকা ক্ষত দূর থেকে দেখা হলে
বিস্তারিত সব অঘটন চোখে পড়ে—
নিজ জামা খুলে কোলাহল ভুলে থাকা
চুপ কোনো বনগ্রামে উপগত হলে
মনে হয় দূর থেকে দেখা যায় বেশি—
একদম শেষে যেন আর কিছু নেই
কেবল মাথার পাশে পাখিরা উড়ছে,
সারা হাত-মুখে তোমার দেহের পলি
সুবাসিত হয়ে আছে গহিন আদরে,
বর্ষণের পরে আরও খুব কাছাকাছি
ডোরাকাটা জোছনার স্মৃতি ঝরে পড়ে,
সাদা কাশফুল হিল-হিল করে দোলে,
শরতের ভোর যেন সহসা এসেছে—
আস্বাদের পরে যত বেশি কাছাকাছি
সময় কাটানো যায়; যতখানি ভেঙে
চক্রাকারে নুয়ে দুজনের খুব কাছে
কুসুম ফুলের স্বরে মেখে থাকা যায়,
অধিক নির্জনে যতখানি কাছে আসি,
মধু রাখা মুখে তাকে শুধু প্রেম বলি—
আকাশে নিকিয়ে থাকা সব ঘন আলো
কমে আসার ভেতর উড়ে যাচ্ছে সব
ভরপেট সারসেরা; প্রান্তরের দেহে
পড়ে আসা রোদে মানুষের যাতায়াত
অনুমিত হয়; যেন তারাও ফিরছে
নিজ হাতে গড়ে রাখা উষ্ণতার কাছে,
কমলা রঙের পাশে অবিরাম কাঁপে
শীতলষষ্ঠী দিনের অনুগামী চাঁদ—
এরপর আকাশের বুক খুলে ধীরে
বের হয়ে আসা অনুপম হাওয়ারা
পৃথিবীর সব তামারঙা লোকদের
দেহের ভেতর দিয়ে উড়ে যায় আর
গাছদের সরু পাতাগুলো ঘিরে শুধু
শব্দ হয়, যেন রাত্রি এবার নামবে—
যখনই কোনো দুঃখ আসে আকস্মিক,
সারা দেহ ঘিরে করোটির চারপাশে
যখনই হৃদয়ের ডহরে ডহরে
করুণ জলের দেহ অনায়াসে কাঁপে,
কিংবা আয়ুর অসীমে কী এক বিরান
সব দ্বিধা ফেলে রেখে সমূহ বিস্তারে
নিদ্রাহীন ক্রীড়া করে আর প্রকাশিত
ফুলের কাছেই আফসোস খুলে পড়ে,
মাথার ভেতরে জমে থাকা আন্তরিক
সুবাসিত সব আলো, অরূপ রোশনি
জলের বিন্যাসে অবিরাম কেঁপে কেঁপে
অ্যাবসার্ড হয়ে পড়ে; যেন কিছু নেই
নিজের ছায়ার চারপাশে বিজড়িত,
ধূসর রাত্রি কেবল আকর্ণবিস্তৃত!
বিজড়িত কিছু ছেড়ে যাওয়ার পথে
পাখি বসে থাকা গাছের ভেতর দিয়ে
যেসব হাওয়া কেবল সুবাস রেখে
মৃদু মৃদু স্বরে বয়ে যায় নিরুদ্বেগে;
অথবা যেসব আনক জোরালো বর্ষা
পথ ভুল করে বা কোনো অপ্রয়োজনে
একহারা পাতা আর লাল শস্যদানা
ভেঙে ভেঙে রেখে উড়ে যায় দূর বনে,
তাদের শাঁসালো ভাষা রোদ ভরা দিনে
কিংবা ভারী হাওয়ার কোনো সন্ধ্যাকালে
আর সব স্মৃতিদের ম্রিয়মাণ করে
তিলাঘুঘুদের মতো ছোট ছোট দলে
দিনভর রাতভর পায়চারি করে
নখ রাখে অবিরাম উজানের পথে—