‘ভারতের বি টিমের সঙ্গেও পারবে না পাকিস্তান’
Published: 25th, February 2025 GMT
আইসিসির মঞ্চে ভারতের কাছে পাকিস্তানের হার যেন নির্ধারিত। সবশেষ কবে আইসিসির টুর্নামেন্টে ওয়ানডে ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান সেটা খুঁজে পেতে নিঃসন্দেহে বেগ পেতে হবে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। হেরেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে।
পাকিস্তানের পারফরম্যান্স দেখার পর সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার জানিয়েছেন, ভারতের ‘বি’ টিমের সঙ্গেও পারবে না পাকিস্তান। ‘সি’ টিমের সঙ্গে পারবে কিনা সেটা তিনি নিশ্চিত নন।
“আমি মনে করি (ভারতের) ‘বি’ টিমের বিপক্ষেও জিততে কষ্ট হয়ে যাবে পাকিস্তানের।। ‘সি’ দলের সঙ্গে পারবে কিনা আমি খুব বেশি নিশ্চিত নই। কিন্তু বর্তমান ফর্মে পাকিস্তানের জন্য ভারতের ‘বি’ দলকে হারানো খুব কঠিন হবে।’’
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের সামনে ৬ কোটি টাকার হাতছানি
বৃষ্টির পেটে অস্ট্রেলিয়া-দ.
পাকিস্তানের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পেছনের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন তাদের বেঞ্চ স্ট্রেন্থ না থাকাটাকে, ‘‘আমি মনে করি এটা আশ্চর্যজনক, বেঞ্চ স্ট্রেংথের অভাব। পাকিস্তানের সবসময়ই ন্যাচারাল ট্যালেন্ট ছিল। এই ধারনা থেকে ন্যাচারাল বলছি, যে তারা সবসময় টেকনিক্যালি সঠিক নাও হতে পারে, তবে ব্যাট এবং বলের উপর তাদের সহজাত ধারণা ছিল। উদাহরণস্বরূপ, ইনজামাম-উল-হককে দেখুন। যদি আপনি তার ট্যান্স দেখেন, তাহলে আপনি একজন তরুণ ব্যাটসম্যানকে এটি ফলো করতে পরামর্শ দিবেন না। তবে তার দুর্দান্ত টেম্পারামেন্ট ছিল। এই ধরণের টেম্পারামেন্টের কারণে তিনি যেকোনো টেকনিক্যাল ত্রুটি পূরণ করতে পেরেছিলেন।’’
ভারত কীভাবে এতো এতো খেলোয়াড় পাচ্ছে? সে বিষয়ে গাভাস্কার বলেছেন, ‘‘সাদা বলের ক্রিকেটে ভারত এত তরুণ তারকা কীভাবে তৈরি করেছে? এর কারণ আইপিএল। সেখানকার খেলোয়াড়রা রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছে এবং শেষ পর্যন্ত ভারতের হয়ে খেলেছে। এটা এমন কিছু যা পাকিস্তান ক্রিকেট বিশ্লেষণ করতে পারে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে কেন তাদের আর আগের মতো বেঞ্চ স্ট্রেন্থ নেই।’’
শেষ ম্যাচে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। আর ভারত লড়বে গ্রুপসেরা হওয়ার লক্ষে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।
এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স— ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।
আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগেভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।
ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।
তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল