কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে। রোববার সাইফুল কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

মঙ্গলবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ মাসুদ হাসান জুয়েল।

তিনি বলেন, হত্যা মামলার আসামি সিএমপির সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম কারাগারে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, সাইফুলের হার্ট ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে সিসিইউতে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সিএমপির সাবেক কমিশনারকে এনজিওগ্রাম করতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার এক সপ্তাহ আগে হার্টে রিং পরিয়েছেন এমন মেডিকেল রেকর্ড আদালতে উপস্থাপন করেছেন। আদালত তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও থানায় করা একটি হত্যা মামলায় সাইফুলকে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হলে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। পরে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে সাইফুলকে ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়। গত বছরের ৪ জুলাই সিএমপির ৩২তম কমিশনার হিসেবে যোগ দেন সাইফুল ইসলাম। 

এর আগে তিনি এমআরটি পুলিশের ডিআইজি, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর পুলিশে রদবদলের মধ্যে সাইফুল ইসলামকেও চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে সংঘাতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়। এসব ঘটনায় থানা ও আদালতে অর্ধশতাধিক মামলা হয়। এসব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স এমপ র

এছাড়াও পড়ুন:

১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা