ফতুল্লায় নিখোঁজের একদিন পর ইটভাটার ঝোপ থেকে মোঃ বাইজিদ আকন নামের ৯ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

নিহত মোঃ বাইজিদ আকন ফতুল্লা থানার ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার শাহানাজের বাড়ীর ভাড়াটিয়া সাইফুল আকনের পুত্র।

এ ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ফেরদৌস আলী (২৯) কে  করিমগঞ্জ থেকে  গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত ফেরদৌস আলী কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার খাকশ্রী থানার মোঃ মানিক মিয়ার পুত্র।

মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুইড়াস্থ সাহাবুদ্দিন হাজীর ইট ভাটার ঝোপের ভিতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এর আগে রাত সাতটার দিকে  পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় করিমগঞ্জ থেকে ঘাতক ফেরদৌস  কে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিমতে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, নিহত শিশু ও ঘাতক একই ভাড়া  বাড়ীতে পাশাপাশি বসবাস করতো। সোমবার সন্ধ্যার দিকে চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে ফেরদৌস রেলস্টেশনস্থ বাসা থেকে বের হয়।

পরে রাত বারোটার দিকে নিহত শিশুর বাবা  কে ঘাতক ফেরদৌস  ফোন করে জানায় যে ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে অন্যথায় হত্যা করা হবে। তারা টাকা দিতে চাইলেও পরবর্তীতে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার সকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি নিখোঁজ জিডি করে। নিখোঁজ জিডির সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাত সাতটার দিকে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ঘাতক ফেরদৌস কে  গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে তার স্বীকারোক্তিমোতাবেক দাপাইদ্রাকপুরস্থ ইটভাটার ঝোপ থেকে নিহত শিশুর লাশটি উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানির’ বিরুদ্ধে আট দফা দাবি উত্থাপন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার বিকেলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চললেও রেজিস্ট্রার ভবন এখনো পুরোনো ত্রুটিপূর্ণ প্রশাসনিক ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিমা, সনদ উত্তোলন, ডিজিটাল কার্যক্রম, কর্মচারীদের ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিলম্ব ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা যে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিমা–সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে; মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের অজুহাতে সেবা বন্ধ না করে কার্যক্রম চালু রাখতে হবে; রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি পরিশোধসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাল করতে হবে; লালফিতার দৌরাত্ম৵ বন্ধ এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা চালু  করতে হবে; অবৈধ নিয়োগ তদন্ত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; ওয়েবসাইট হালনাগাদ এবং কেন্দ্রীয় অনলাইন সেবা পোর্টাল চালু করতে হবে; কর্মচারীদের আচরণ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে; সনদ ও মার্কশিট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি বাতিল করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবদুর রহমান আল-ফাহাদ, আশিক খান, রিয়াদুল ইসলাম, শামসুদ্দোহা শাকিল, শাহেদ ইমনসহ ১০ জন। এ সময় সহ–উপাচার্য সায়মা হক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ