তাইওয়ানের দক্ষিণ উপকূলে অনেকটা যুদ্ধের আদলে সামরিক মহড়া (লাইভ-ফায়ার) শুরু করেছে চীন। এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার নিজেদের জলসীমায় নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনী পাঠিয়েছে তাইওয়ান। এক বিবৃতিতে চীনের এ মহড়াকে ‘বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সমন্বিতভাবে যুদ্ধ মহড়ার অংশ হিসেবে তাইওয়ানের কাছাকাছি দূরত্বে যুদ্ধজাহাজসহ ৩২টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চীন। তাইওয়ানের দক্ষিণ উপকূলের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে তারা যুদ্ধের আদলে মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে।

জবাবে ওই এলাকার আশপাশে নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনী পাঠিয়েছে তাইওয়ান। পরিস্থিতি ‘পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতা এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিতে’ এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীনের সেনাবাহিনী আমাদের না জানিয়ে কাওশিউং ও পিংতুং উপকূলের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে একতরফাভাবে সামরিক মহড়া ঘোষণা করে স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে।’ তাইওয়ান বলছে, এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জাহাজ চলাচলের জন্যই শুধু বড় ধরনের ঝুঁকিই তৈরি করবে না, এটা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি সুস্পষ্ট উসকানি।

কাওশিউং ও পিংতুং প্রশাসনিক উপকূলে তাইওয়ানের নৌ ও বিমানবাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে।

কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের চারপাশে মহড়া এবং যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন বাড়িয়েছে চীন। সার্বভৌমত্বের দাবি ছেড়ে দিতে তাইওয়ানের ওপর চাপ তৈরি করতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। তবে বেইজিংয়ের এমন দাবির কাছে নতি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে তাইপে।

বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের পদক্ষেপ তাদের বারবার বলে আসা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নীতির সম্পূর্ণ বিরোধী। নিজেদের ‘বাহিনী শক্তিশালী করা ও প্রস্তুতির চেষ্টা অব্যাহত’ রাখার ঘোষণা দিয়েছে স্বশাসিত দ্বীপটি।

এদিকে তাইওয়ানের বিবৃতি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়।

একই বিষয়ে জানতে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা এএফপি। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। চীনের এ সামরিক মহড়া কত দিন চলবে, তা জানা যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ইওয় ন র পদক ষ প উপক ল

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন

পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান,  অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।

গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়। 

তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”

নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ