মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি থাকা ২৯ জেলেকে ফেরত এনেছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)। বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীতে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় আরাকান আর্মি বিজিবির কাছে তাদের হাতে আটক ২৯ জন জেলে ও মাঝিমাল্লাকে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাদেরকে ট্রলারে করে টেকনাফ জেটি ঘাটে নিয়ে আসে।

ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকি ১৪ জন এফডিএমএন সদস্য। ১৫ বাংলাদেশি নাগরিক হলেন- টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের মৃত তৈয়বের ছেলে মোঃ হাসান (৩০), মোঃ সলিমুল্লার ছেলে মোঃ জাবেদ (১৮), কবির আহমেদের ছেলে মোঃ আঃ রহিম (১৭), মৃত আলমের ছেলে মোঃ হাসান (১৯), খুল্যা মিয়ার ছেলে মোঃ কালা মিয়া (৩৭), মোঃ সৈয়দ আলমের ছেলে মোঃ নুরুল আলম (৩৯), শামসুল আলমের ছেলে আব্দুর রহমান (১৯), সুলতান আহমেদের ছেলে মোঃ কালাম আহমেদ (২৯), ফয়জল করিমের ছেলে মোঃ লাইল্যা (১১), আব্দুল আমিনের ছেলে মোঃ কবির আহমেদ (৪৩), কবির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ (২৩), সোনামিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৪), রশিদ আহমেদের ছেলে মোঃ লুতফর রহমান (২৩), আব্দুল মান্নানের ছেলে রহিম উল্লাহ (২১) ও নূর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ ফয়সাল।

১৪ জন এফডিএমএন সদস্য হলেন- ৮ নম্বর (ইস্ট) বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের নুর সালামের ছেলে ফারুক মাঝি, ২৫ নম্বর আলীখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের ইকরামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ, ৭ নম্বর কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্পের নাজির হোসেনের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম, ১৩ নম্বর বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের দলিজানের ছেলে আব্দুল মোনাফ, হোছন আলীর ছেলে তৈয়ব আলী, মোঃ সালামের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ মাঝি, নূর মোহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলম, নূর মোহাম্মদের ছেলে ইমাম হোসেন, থান্ডা মিয়ার ছেলে মোঃ হোছন আহমেদ, হোছন আহমেদের ছেলে নেজামুদ্দিন (৩০), নুর মোহাম্মদের ছেলে আমান উল্লাহ (৩২), সোনামিয়ার ছেলে নুর হোছন, মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কবির আহম্মদ এবং মৃত মকবুল আহম্মদের ছেলে হামিদ হোসেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ২০ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬টি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে ভুলবশত মায়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করেন। এসময় মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি তাদের আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জেলেদের পরিবারের অনুরোধে বিজিবি তৎপর হয়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন করে এবং দীর্ঘ আলোচনার পর আজ জেলেদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।

ফেরত আসা জেলেদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহম দ র ছ ল ক ন আর ম

এছাড়াও পড়ুন:

বেজা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দুই প্রস্তাব অন

‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প’ এর সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যামিনিটিজ (সি সাইড) এর পূর্ত কাজের এবং কক্সবাজার এবং নোাখালী জেলায় এফডিএমএন সম্প্রদায়ের জন্য সমন্বিত যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা ক্রয়ের পৃথক দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ২৯ হাজার ১৮০ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটি সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প’ এর সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যামিনিটিজ এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ৩টি প্রস্তাব আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ঢাকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এতে ব্যয় হবে ৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪ হাজার ৪০০ টাকা। প্যাকেজের আওতায় ২২.১০ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর, ৩টি প্রবেশদ্বার, ৩টি গার্ডরুম, ২৫টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ২২.১০ কিলোমিটার মাটির বাঁধ কাম হেরিং বোন বন্ড রাস্তা নির্মাণ এবং রাস্তা বরাবর স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হবে।

সভায় কক্সবাজার এবং নোাখালী জেলায় মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত (এফডিএমএন) নাগরিকদের জন্য সমন্বিত যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের সেবা ক্রয়ের জন্য সিঙ্গেল সোর্স সিলেকশন পদ্ধতিতে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বরাবর আরএফপি আহ্বান করা হলে প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে। পিইসির প্রস্তাব উপযুক্ত বিবেচেনা করা হয়। পরবর্তীতে পিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত উপযুক্ত দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে ১৬২ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ৭৮০ টাকায় বর্ণিত প্রকল্পের সেবা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। প্যাকেজের আওতায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় এবং নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মায়ানমানর নাগরিকদের মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া হবে।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেজা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দুই প্রস্তাব অন