চারটি স্থলবন্দর বন্ধ করার সুপারিশ
Published: 2nd, March 2025 GMT
চারটি স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই স্থলবন্দরগুলো হলো নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ, রাঙামাটির তেগামুখ ও হবিগঞ্জের বাল্লা।
এর মধ্যে চিলাহাটি, দৌলতগঞ্জ ও তেগামুখে কোনো অবকাঠামো নেই বলে তা বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। আর হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ হলেও ভারতীয় অংশ অবকাঠামো ও সড়ক না থাকায় এই স্থলবন্দরের পরিচালনা কার্যক্রম স্থগিত করার কথা বলা হয়েছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে দেশের আটটি স্থলবন্দরের উপযোগিতা দেখতে একটি কমিটি গঠন করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
এ কমিটি আরও চারটি স্থলবন্দরকে শর্ত সাপেক্ষে চালু রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন ময়মনসিংহ জেলার গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের দুটি স্থানের পরিবর্তে একটি স্থানে স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু রাখার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি। শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আয়-ব্যয় বিবেচনা করে এর কার্যক্রম গতিশীল করার কথা বলা হয়েছে।
কমিটি আরও বলেছে, জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ বিনিয়োগ বিবেচনায় ন্যূনতম জনবল দিয়ে বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখা যেতে পারে। দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দরে বিদ্যমান ব্যবস্থায় রেলপথে আমদানি-রপ্তানি চালু রাখা যেতে পারে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
এসব বিষয় যাচাইয়ের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সম্প্রতি এ কমিটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। সেই কমিটি এসব সুপারিশ করেছে। এসব স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য হওয়ার কথা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স প র শ কর অবক ঠ ম
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়া দিয়ে ভারত থেকে এলো সাড়ে ১২ টন জিরা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে জিরা আমদানি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২ টন জিরা বন্দরে খালাস করা হয়। এর আগে সোমবার ১২ টন জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
জানা গেছে, সারা এগ্রো এনিমাল হেলথ এবং সততা ট্রেডিং নামে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। কাস্টমস ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আখাউড়া স্থলবন্দরের মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আখাউড়া কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি কেজি জিরা প্রায় ৩ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭ টাকায় আমদানি করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে মোট ৩৬.৫ টন জিরা আমদানি হয়েছে, যার মাধ্যমে ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, চলতি বছরে এর আগেও কয়েকবার এই বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে। ঈদুল আজহা সামনে রেখে আরও আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে।