এবারও প্রিয়জনদের নিয়ে ইফতার করলেন মিম
Published: 2nd, March 2025 GMT
চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের বেলায় এটা নতুন কিছু ঘটনা নয়। প্রতি বছরই প্রথম রোজায় এমন চিত্র দেখা যায় তার বাসায়। ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হয়েও রমজানের সময় তার প্রিয়জনদের নিয়ে ইফতার করেন তিনি। চলতি রমজানেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
রোববার প্রথম রমজানের দিন মিম তার প্রিয়জনদের নিয়ে ইফতার করেছেন। ঘরোয়া পরিবেশে খাবারের টেবিলে ইফতার আয়োজনের একটি ছবি নিজের ফেসবুক পেজে আপলোড করেছেন এ অভিনেত্রী। এর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই বরকতময় রমজানের প্রথম ইফতার আমার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করলাম। একতা, আশীর্বাদ এবং সুন্দর মুহূর্তগুলোর জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’
ব্যক্তিগত জীবনে সনাতন ধর্মের অনুসারী বিদ্যা সিনহা মিম। কিন্তু প্রতিবছরই তিনি ঈদ উদযাপন করে ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মিম এবারের পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনমা মিম তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘রামাদান মুবারাক’। পাশে নতুন চাঁদের ইমোজি দিয়েছেন। পাশাপাশি তার একটি ছবিও পোস্ট করেছেন।
অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম ঈদুল আজহার সময় তাকে কাজে সহায়তাকীদের জন্য কোরবানিও দেন। এতে রীতিমতো মুগ্ধতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন মিমের ভক্ত-অনুরাগীরা।
বিদ্যা সিনহা মিম ২০০৭ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। এর মাধ্যমেই তার শোবিজে যাত্রা শুরু। একই বছরে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত ‘আমার আছে জল’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। ‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ২০১৪ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৯ সালে মিম নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু নির্মিত ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন শাকিব খান। ছোটপর্দায়ও নিয়মিত অভিনয় করছেন এ অভিনেত্রী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইফত র রমজ ন র ইফত র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত
চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিতস্কি। রোববার রাশিয়া দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বছর রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ৮০ বছর উদযাপন করছে। একইসঙ্গে সোভিয়েত পারমাণবিক শিল্প প্রতিষ্ঠারও ৮০ বছর। এই গৌরবময় সময়ে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’ তিনি জানান, রুশ ও বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং প্রথম ইউনিট উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর প্রকল্প শুধু প্রযুক্তিগত নয়, রাশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’ এর সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালুর প্রস্তুতিতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম।